পামওয়েলের সাথে রং ও রাসায়নিক দ্রব্য মিশিয়ে সরিষার তেল তৈরি করে দীর্ঘদিন ধরে বাজারজাত করার অভিযোগ উঠেছে পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার তেল ব্যবসায়ী আল-আমিনের বিরুদ্ধে। বুধবার ভাঙ্গুড়া পৌরশহরের শরৎনগর বাজারে নিজ দোকানে ভেজাল সরিষার তেল তৈরি করার সময় বিষয়টি নজরে আসে এলাকাবাসীর। পরে তারা পুলিশে খবর দেয়। তবে পুলিশ অভিযান চালানোর আগেই আল-আমিন দোকান রেখে পালিয়ে যায়। আল-আমিন ভাঙ্গুড়া পৌর শহরের সর্দার পাড়া মহল্লার আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে। সর্দার পাড়ার বাসায় আল-আমিনের ভেজাল তেল তৈরীর কারখানা আছে বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, আল-আমিন বুধবার দুপুরে ভাঙ্গুড়া পৗর শহরের শরৎনগর বাজারে তার দোকানে পামওয়েলের মধ্যে রং ও ঝাঁজ তৈরীর জন্য রাসায়নিক দ্রব্য মেশাচ্ছিলেন। এসময় প্রত্যক্ষদর্শীরা আল-আমিনকে বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন করলে সে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। পরে তারা পুলিশে খবর দেয়। এতে পরিস্থিতি বেগতিক দেখে পুলিশ আসার আগেই আল-আমিন দোকান রেখে পালিয়ে যায়। কিছুক্ষণ পর পুলিশ এবং উপজেলা স্বাস্থ্য পরিদর্শক নুরুল ইসলাম দোকানে গিয়ে ভেজাল তেলের আলামত পায়। পরে দোকানের কুড়ি লিটার ভেজাল সরিষার তেল জব্দ করে পয়:নিষ্কাশন ড্রেনে ফেলে দেন তারা। এছাড়া তেল পরীক্ষা করার জন্য পাঁচটি কন্টেইনার থেকে নমুনা সংগ্রহ করেন উপজেলা স্বাস্থ্য পরিদর্শক নুরুল ইসলাম।
অভিযান পরিচালনাকারী ভাঙ্গুড়া থানা পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) সাজেদুর রহমান বলেন, অভিযান পরিচালনা করার আগেই অভিযুক্ত আল-আমিন পালিয়ে যায়। তবে প্রত্যক্ষদর্শীদের অভিযোগের ভিত্তিতে ভেজাল তেল ড্রেনে ঢেলে নষ্ট করা হয়। এছাড়া অভিযোগ ওঠা প্রতিটি কন্টেইনার থেকে নমুনা তেল সংগ্রহ করেছে উপজেলা স্বাস্থ্য পরিদর্শক। নমুনা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার পরে এ বিষয়ে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
উপজেলা স্বাস্থ্য পরিদর্শক নুরুল ইসলাম জানান, প্রত্যক্ষদর্শীদের বক্তব্য ও প্রাথমিক আলামতে ভেজাল সরিষার তেল তৈরির বিষয়টির প্রমাণ মিলেছে। তবে এরপরও ভেজাল তেল এর নমুনা ল্যাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে প্রতিবেদন পাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে। প্রতিবেদন পাওয়ার পরে পুলিশ আইনি ব্যবস্থা নিতে পারবে।