বিভাগিয় তদন্ত ৫ সাংবাদিকের লিখিত জবানবন্দি গ্রহন বীরগঞ্জে ওসি সাকিলা পারভীনের বিরুদ্ধে সাংবাদিকদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার অভিযোগ

বীরগঞ্জে ওসি সাকিলা পারভীন সাংবাদিকদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার অভিযোগের তদন্ত, ৫ সাংবাদিককে জ্ঞিাসাবাদের পর লিখিত জবানবন্দি গ্রহন করেছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. সালাহ উদ্দিন।
ডিআইজি, রংপুর রেঞ্জ দপ্তর স্মারক নং-রং-রেঞ্জ/শৃং ও আঃ/৪৮১৮ তাং-৭ মে পুলিশ সুপারের কার্যলয়, দিনাজপুর এর স্মারক নং-৪১পি, তাং-১৩ মে/১৯ইং ও বীরগঞ্জ সার্কেল অফিস স্মারক নং ৫৬৮ তাং-২১ মে/১৯ইং মোতাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. সালাহ উদ্দিন তার কার্যালয়ে ২৫ মে সকালে তদন্ত সম্পন্ন করেন। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. সালাহ উদ্দিন বীরগঞ্জ প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মোঃ আবেদ আলী, সহ-সভাপতি নাজমুল ইসলাম মিলন, যুগ্ন সাধারন সম্পাদক মোঃ মোশাররফ হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক আরএম তৌফিক ও উপজেলা প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক রতন কুমার ঘোষ পিজুষসহ ৫ জন সাংবাদিককে জিজ্ঞাসাবাদ করেন ও লিখিত জবানবন্দি গ্রহন করেন।
বীরগঞ্জ প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি মোঃ আবেদ আলী জানান, গত ১৭ এপ্রিল সকালে প্রতারনার শিকার ৪০/৫০ জন টার্কি মুরগি খামারী স্বপ্নতরী এগ্রো সাভিসেস লিঃ কার্যালয় ঘেরাও করে পাওনা টাকার দাবিতে বিক্ষোভ করে। সংবাদ পেয়ে ইউএনও মোঃ ইয়মিন হোসেন ও সহকারী কমিশনার, স্থানীয় ও রংপুরের সাংবাদিক ক্যামড়াম্যান সহ তথ্য সংগ্রহ করেন। পুলিশকে জানানো হলেও অজ্ঞাত কারনে ঘটনাস্থলে অনুপস্থিত ছিল।
উপজেলা নিবার্হী অফিসার মোঃ ইয়মিন হোসেন দুপুর ২টায় সাংবাদিক, প্রতারক চক্র ও প্রতারিত বিক্ষুব্ধ খামারীদের অফিসে ডেকে নিয়ে যান। সেখানে প্রতারক চক্র ও প্রতারিত খামারীদের ফাইলপত্র ও যাবতীয় দেনা-পাওনার কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করার সময় ডিবিসি চ্যানেল এক প্রতিবেদন প্রচার করা হয়। প্রতিবেদনে নাম উল্লেখ করে বলা হয় ছাত্রলীগের কর্মিরা ডিবিসি প্রতিবেদকের উপর হামলা চালিয়ে মারপিট, ক্যামড়া ভাংচুর ও ক্যামড়া ছিনিয়ে নিয়ে গেছে তারা।
রংপুরের সাংবাদিক অভিযোগ করেন, ইউএনও মোঃ ইয়মিন হোসেন ও এ্যাসি ল্যান্ড ঘটনার সময় উপস্থিত ছিলেন তারা কোন ব্যবস্থা নেয়নি। ওসি সাকিলা পারভীন বিচারের আশ্বাস দিয়েছে। পর দিন ১৮ এপ্রিল সন্ধ্যায় ৫ জন সাংবাদিক বিরুদ্ধে থানায় জিডি করা হয়। জিডির সুত্রধরে ৭ মে রংপুরের নাজমুল ইসলাম নিশাদকে বাদী করে হামলাকারীদের আড়াল করে ৫ সাংবাদিক সহ ৮ জনের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র মামলা দায়ের করা হয়।
সাংবাদিক আবেদ আলী ও রতন কুমার ঘোষ পিযুষ অভিযোগ করেন ওসি সাকিলা পারভিন সাংবাদিকদের হয়রানী করার ঘৃণ্য ষড়যন্ত্র মামলায় ফাঁসিয়ে দিয়েছে। কারন ওসি থানায় যোগদানের পর ব্যাপক ঘুষ বানিজ্য, অনিয়ম ও সেচ্ছাচারিতা প্রতিষ্ঠার লক্ষে সংবাদিকদের সাথে অসদাচারন ও দুর্ব্যবহার সহ সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে থানার দালাল দিয়ে একাধিক অভিযোগ সৃষ্টি করে সাংবাদিকদের কন্ঠরোধে ও হয়রানী করার চেষ্টা করে আসছিল।
উল্লেখ্য, ওসি সাকিলা পারভীনের বিরুদ্ধে এসব ঘটনায় ইতমধ্যে পুলিশের মহা পরিদর্শক সহ সংশ্লিষ্ট দপ্তর সমুহে ও গণপ্রজাতন্রী বাংলাদেশ সরকারের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রনালয়ে সাংবাদিক ঐক্য পরিষদ অভিযোগ করেছে।