রাজশাহীর বাগমারায় ওয়ার্ল্ড পোল্ট্রি এন্ড ফিসফিড কোম্পানীর বিরুদ্ধে খাদ্যে ভেজাল ও অনিয়মের অভিযোগ করেছেন উপজেলার মচমইল এলাকার মুরগীর খামারী ইসমাইল হোসেন। ওই ঘটনায় সুষ্ঠ বিচার ও ক্ষতিপূরনের দাবী জানিয়ে রোববার উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসারের দপ্তরের লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, টাঙ্গাইল জেলার মির্জাপুর এলাকার হাটুভাঙ্গা বাজারে ওয়ার্ল্ড পোল্ট্রি এন্ড ফিসফিড কোম্পানীর তৈরী মুরগীসহ বিভিন্ন গবাদী পশুর খাবার বাজারজাত করে আসছেন কোম্পানীর লোকজন। সম্প্রতি উপজেলার মচমইল বাজারের মুরগী খামারী ইসমাইল হোসেন ওই কোম্পানী থেকে খাবার ক্রয় করে মুরগীসহ বিভিন্ন গবাদী পশু পালনকারীদের মধ্যে সরবরাহ করেন। ওয়ার্ল্ড পোল্ট্রি এন্ড ফিসফিড কোম্পানী খাবারের গুনগতমান নি¤œ মানের হওয়ায় মুরগী খামারীসহ গবাদী পশু পালনকারীরা ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখিন হয়েছেন। বিষয়টি কোম্পানীকে জানানোর পর তারা মচমইল এলাকায় ইসমাইল হোসেনের মুরগীর খামারসহ গবাদী পশু পালনকারীদের থামার পরিদর্শন করে ক্ষতি পূরনের আশ্বাস দেন। কোম্পানীর ব্যক্তিবর্গ মচমইলে ইসমাইল হোসেনের মুরগীর খামার থেকে চলে যাওয়ার পর আর কোন যোগাযোগ রাখেনি। তিনি বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার কোম্পানীর কর্মরত কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও কোন ফলাফল পাননি। মুরগী খামারী ইসমাইল হোসেন অভিযোগ করে বলেন, কোম্পানীর তৈরী খাবার খাওয়ানোর কারণে তার খামারের প্রায় তিন লক্ষ টাকার ক্ষতি সাধিত হয়েছে। তিনি ওই সকল ক্ষতি পূরনের জন্যই ওয়ার্ল্ড পোল্ট্রি এন্ড ফিসফিড কোম্পানীর বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছি। বিষয়টি জানার জন্য ওয়ার্ল্ড পোল্ট্রি এন্ড ফিসফিড কোম্পানীর টেলিফোন নম্বরে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তারা ফোনটি রিসিভ করেন নি। তবে এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শরিফ আহম্মেদ অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনাটি খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে। অভিযোগের সত্যতা পেলে কোম্পানীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি জানান।