মশাহিদ আহমদ, মৌলভীবাজার ঃ মৌলভীবাজারের সদর উপজেলার শ্যামেরকোনা এলাকায় জমি নিয়ে বিরোধের জেরে জমির পাকা ধান বিনষ্ট করেছে দুর্বৃত্তরা। আর এজন্য বিবদমান দু’পক্ষ একে অন্যকে দায়ী করছে। স্থানীয় স‚ত্রে জানা যায়, মৌলভীবাজার সদর উপজেলার চাঁদনীঘাট ইউনিয়নের শ্যামেরকোনা গ্রামের প্রয়াত ধন মিয়ার ছেলে আছিম উল¬ার নামে রেকর্ডকৃত ভ‚মি নিয়ে আছিম উল¬ার উত্তরাধীকারীস‚ত্রে অংশীদার হারুণ মিয়া, ভুট্টু মিয়া, ছিদ্দেক মিয়া, নাসিমা বেগম, আনিস মিয়া, মনসুর আলী, মায়া বেগম, মিনা বেগমসহ অন্যদের সাথে একই গ্রামের মৃত মন্তাজ উল¬ার ছেলে সুলতান মিয়া, আলকুম মিয়া ও শেখ মিয়া এবং রাজনগর উপজেলার প‚র্ব শ্যামেরকোনা গ্রামের সুরুজ মিয়ার ছেলে ময়নার বিরোধ চলছে। রাতে বিরোধীয় সাড়ে ৮৪ শতক ভ‚মির কিছু অংশের পাকা আমন ধান কেটে কাদার মধ্যে পুতে বিনষ্ঠ করে দুর্বত্তরা। এনিয়ে দু’পক্ষ একেঅন্যকে দায়ী করে। সরেজমিনে দেখা যায়, বিরোধীয় ভ‚মির ধান ক্ষেতের বিভিন্নস্থানে ধানগাছ ভাঙা। কিছুস্থানে আবার ধানগাছ কেটে কাদার মধ্যে পুতে রাখা হয়েছে। রাস্তা সংলগ্ন ক্ষেতের অংশ তুলনাম‚লক বেশি ক্ষতিগ্রস্থ করা হয়েছে। এবিষয়ে ভুট্টু মিয়া, ছিদ্দেক মিয়া আনিছ মিয়া ও নাসিমা বেগম অভিযোগ করেন, প্রতিপক্ষ সুলতান মিয়ার পক্ষ ধান নষ্ঠ করে তাদের দায়ী করছে। স্থানীয়ভাবে প্রভাশালী সুলতান মিয়ার পক্ষ তাদের উত্তরাধীকারীস‚ত্রে প্রাপ্ত ১ একর ৭ শতক ভ‚মির মধ্যে সাড়ে ২২শতক ভ‚মি ক্রয়স‚ত্রে মালিক আর বাকি সাড়ে ৮৪ শতক ভ‚মির উত্তরাধীকারীস‚ত্রে তারা বর্তমান মালিক। কিন্তু প্রতিপক্ষ সমস্ত সম্পদ আত্মসাৎ করার উদ্দেশ্যে বিভিন্ন সময় তাদের হুমকি ধামকী ও হয়রানী করে আসছে। এখন পাকা ধান বিনষ্ঠ করে তাদের উপর দায় চাপিয়ে দাঙ্গা বাঁধানোর অভিযোগ তাদের। এর আগে ২০১৬ সালে পাকা ধান বিনষ্ঠ করার অভিযোগ এনে ভুট্রো মিয়াসহ ৪ জনের বিরুদ্বে মৌলভীবাজার আদালতে মামলা দায়ের করা হয়। মামলা নং ৭৪/১৬। চলতি বছরের ৬ মে সেই ঘটনা প্রমাণিত না হওয়ায় ৪ জনকে আদালত খালাস প্রদান করেছেন। সেজন্য আবারো তাদের হয়রানির উদ্দেশ্যে এমনটি করার অভিযোগ তাদের। এব্যাপারে সুলতান মিয়া জানান, তিনি ভোরে এসে ধান বিনষ্টের চিত্র দেখেন। তিনি অপর প্রতিপক্ষ ঘটনার জন্য দায়ী উলে¬খ করে বলেন, এই ভ‚মি ক্রয়স‚ত্রে তিনি মালিক। তবে ভ‚মির দাগে কিছুটা সমস্যা রয়েছে। বিরোধীয় ভ‚মির অবস্থান ভুট্রো মিয়া গংদের বাড়ির কাছে। ভুট্টু মিয়া ও ছিদ্দেক মিয়া অভিযোগ করে বলেন, বিরোধীয় জমিতে সুলতান মিয়ার পক্ষ না নামার জন্য তাদের বিরুদ্ধে আদালতের অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি রয়েছে। যা ২০২০ সালে ১৮ ফেব্রয়ারি পর্যন্ত এই আদেশ কার্যকর থাকবে। কিন্তু আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সুলতান মিয়া গংরা জমি জবর দখল নেয়ার চেষ্ঠা করছে। এরই জেরে রাতের আঁধারে আমাদের জমির ধান কেটে বিনষ্ট করে দিয়েছে। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ৭নং চাঁদনীঘাট ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড সদস্য আলমাছ মিয়া বলেন, ২০ নভেম্বর সকাল ৬টায় সুলতান মিয়ার মাধ্যমে বিষয়টি অবগত হয়েছি। বিষয়টি আমার কাছে প‚র্ব পরিকল্পিত বলে মনে হচ্ছে। এব্যাপারে কমলগঞ্জ থানার এএসআই হামিদুর রহমান বলেন, আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। বিরোধীয় ভ‚মি হচ্ছে কমলগঞ্জ উপজেলায় আর পক্ষদ্বয়ের বাড়ি সদর উপজেলায়।