বড়াইগ্রাম (নাটোর) প্রতিনিধি
বড়াইগ্রামে মাদক বিক্রিতে বাধা দেয়ায় সন্ত্রাসী হামলায় পিতা-পুত্রসহ ১০ জন আহতের ঘটনায় মামলা তুলে নিতে হুমকি দিচ্ছে আসামীরা। তাদের অব্যাহত হুমকির মুখে নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছেন বাদী ও আহতরা।
জানা যায়, উপজেলার শিবপুর গ্রামের রুহুল আমিন ও তার স্ত্রী হাজেরা বেগম ইয়াবাসহ বিভিন্ন মাদক বিক্রি করে আসছিলেন। কিন্তু প্রতিবেশী আব্দুল হামিদ ও আব্দুস সালাম মাদক বিক্রি করতে নিষেধ করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তিনি গত ২৩ অক্টোবর হামিদকে মারপিট করেন। পরে বাড়ি ভিটার সীমানা পিলার উঠিয়ে হামিদের জমির মধ্যে পুঁতে রাখে। বিষয়টি প্রধানদের জানালে রুহুল আমিন ক্ষিপ্ত হয়ে পরদিন বহিরাগত ৭-৮ জন সন্ত্রাসীসহ টেঁটা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে পুনরায় হামিদ ও আব্দুস সালামের উপর হামলা করে। এ সময় তাদের বাঁচাতে এগিয়ে এলে মহিলাসহ ১০জনকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার পাশাপাশি টেঁটা ও হাসুয়াসহ দেশীয় অস্ত্র জব্দ করে। এ ঘটনায় হামিদ বাদী হয়ে ৬ জনের নামে মামলা করেন। সম্প্রতি আসামীরা জামিনে এসে বাদীকে মামলা তুলে নিতে চাপ দেওয়াসহ প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে। এতে বাদীসহ আহতরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় দিন কাটাচ্ছেন।
এ ব্যাপারে রুহুল আমিনের মোবাইলে কল দিলে তার ছেলে সোহাগ জানান, তাদের মধ্যে জমি নিয়ে দ্বন্দ্বে সংঘর্ষ হয়েছে। হুমকি দেয়ার বিষয়টি সঠিক নয়। বড়াইগ্রাম থানার উপ-পরিদর্শক সানোয়ার হোসেন জানান, এ ব্যাপারে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।