নওগাঁ জেলা প্রতিনিধিঃ- নওগাঁর আত্রাই সন্যাসবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়ে এমএলএসএস মোজাম্মেল হকের বিরুদ্ধে জাল সনদে ১৮ বছর ধরে চাকরি করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি, মহাপরিচালক মাধ্যমিক ও উচ্চ অধিদপ্তর , চেয়ারম্যান মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকশিক্ষা বোর্ড, রাজশাহী সহবিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, এলাকাবাসির ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় আত্রাইয়ের প্রত্যন্ত এলাকা হাটকালুপাড়া ইউপির সন্যাসবাড়ী গ্রামে ১৯৯৬ সালের ১৫ জানুয়ারী সন্যাসবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করা হয়। বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠার পর একই বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ২০০০সালের ১০জুলাই এ প্রতিষ্ঠানে প্রধান শিক্ষক, কয়েক জন সহকারি শিক্ষকসহ এমএলএসএস পদে মোজাম্মেল হক নিয়োগ প্রাপ্ত হন। ২০০১ সালে বিদ্যালয়টি এমপিও ভ’ক্ত হয়। এর পর থেকে এমএলএসএস মোজাম্মেল হক নিয়মিত ভাবে সরকারি বেতন ভাতা উত্তোলন করে আসছেন। অভিযুক্ত এমএলএসএস মোজাম্মেল হক আত্রাই উপজেলার সন্যাসবাড়ী গ্রামের মৃত ডোমন প্রামানিকের ছেলে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, নিয়োগ প্রাপ্তির সময় বিদ্যালয়ের এমএলএসএস মোজাম্মেল হক চকশিমলা উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণি পাশের সনদ ব্যবহার করেন। কিন্তু ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে তিনি কোন দিন লেখাপড়া করেননি। প্রতিষ্ঠানের প্রধানের স্বাক্ষর জালিয়তির মাধ্যমে তৈরি করা সনদটি দিয়ে তিনি চাকরি করছেন।
সম্প্রতি বিষয়টি প্রকাশ হয়ে পড়ায় এলাকা জুড়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে। ঘটনায় বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির অভিবাবক সদস্য আবুল কালাম আজাদ বাদি হয়ে গত ৬ অক্টোবর সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করেন।। এমএলএসএস মোজাম্মেলের অপসারন দাবিতে এলাকায় পোষ্টারিং করেছেন এলাকার স্থানীয়রা। সন্যাস বাড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাইদুর রহমান জানান, এ সংক্রান্ত একটি অভিযোগ পেয়েছি এমএলএসএস মোজাম্মেল হকের সনদটি যাচাইয়ের জন্য চকসিমলা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে পত্র দিয়েছি। এমএলএসএস মোজাম্মেল হক চকশিমলা বিদ্যালয়ের ছাত্র নয় উল্লেখ করে প্রধান শিক্ষক মনির উদ্দিন আমার বরাবর একটি প্রত্যয়ন পত্র দিয়েছেন। এতেই প্রমানিত হয় নিয়োগের সময় এমএলএসএস মোজাম্মেল হক যে সনদ ব্যবহার করেছিলেন সেটি জাল।
এ প্রসংঙ্গে এমএলএসএস মোজাম্মেল হক সাংবাদিকদের বলেন, নিয়োগের সময় সনদটি প্রধান শিক্ষক সাইদুর রহমান ৫০০শত টাকার বিনিময়ে সংগ্রহ করে দেন। কোথায় থেকে বা কি ভাবে সংগ্রহ করেন তাহা আমার জানা নাই।
এবিষয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসার আব্দুস সালাম অভিযোগ প্রাপ্তির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।