মোঃ হযরত বেল্লাল, সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি:
আজ থেকে ২০ বছর আগের কথা। শহরের ছেলে-মেয়েরা জানত না বাদাম চাষ কোথায় হয়। বাদাম কোথায় ধরে, কিভাবে বাদাম প্যাকেটজাত করা হয়। অথচ সেই বাদাম চাষ হচ্ছে এখন পৌর শহরে। গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের উপর দিয়ে প্রবাহিত তিস্তা নদীর চরাঞ্চলে প্রায় ৬০ হেক্টর জমিতে প্রতি মৌসুমে বাদাম চাষ হয়ে থাকে। বালু দোআঁশ মাটি বাদাম চাষের জন্য উপযোগী। যেহেতু বাদাম গাছের শিকরে ফলন ধরে সেহেতু বালু মাটিতে বাদাম চাষ করা হয়ে থাকে। বর্তমানে কৃষিতে ব্যাপক সাফল্য। যার কারণে বিভিন্ন পদ্ধতি এবং কৌশল অবলম্বন করে কৃষকরা বসত বাড়ির আনাছে-কানাছে নানাবিধ ফসল চাষাবাদ করে থাকেন। পৌর শহরে অসময়ে বাদাম চাষ বিষয়টি অনেকের কাছে হতবাক হওয়ার মত। পৌর শহরের কলেজপাড়ার কৃষক মন্জু মিয়া জানান, প্রতিবেশি এক ভাই বসতবাড়ি নির্মাণ করার জন্য ৮ শতক জমি ক্রয় করে রেখে গেছে গত ৪ বছর ধরে। ঘর নিমার্ণের জন্য বালু ভরাট করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত নির্মাণ কাজ শুরু করা হয়নি। সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে গত এক মাস পূর্বে বাদাম চাষ করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, বাদাম চাষে খুব বেশি খরচ হয় না। ৮ শতক জমিতে খরচ হয়েছে মাত্র ১ হাজার ৫০০ টাকা। ইতিমধ্যে ফলন আসতে শুরু করেছে। ফলনও ভাল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বর্তমান বাজারে প্রতি কেজি বাদাম ৯০ হতে ১২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ সৈয়দ রেজা-ই মাহমুদ জানান, বর্তমানে বসতবাড়ির ছাদে, পরিত্যক্ত জায়গায় সব শ্রেণির মানুষ নানাবিধ ফসলের চাষাবাদ করে আসছে। তবে বাদাম চাষের জন্য বালু মাটি খুবই উপযোগি। পৌর শহরের বসতবাড়ির জায়গায় অসময়ে বাদাম চাষ ব্যতিক্রম উদ্যোগ।