নাজিম হাসান,রাজশাহী থেকে :
রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে ভেজাল ও নকল প্রাণিসম্পদ (পশুর) জন্য তৈরী করা ভেটেরিনারী ওষুধে সয়লাব হয়ে গেছে। ফার্মেসিগুলোতে ফার্মাসিস্টের পরবর্তী স্বল্প শিক্ষিত সেলসম্যানরা প্রেসক্রিপশনে ভুল ওষুধ ধরিয়ে দিচ্ছে। অধিকাংশ দোকানে কোন ফার্মাসিস্ট নেই। বেশিরভাগ দোকানে মেয়াদ উর্ত্তীণ ওষুধসহ নিষিদ্ধ কোম্পানির ওষুধ দেদারছে বিক্রি করা হচ্ছে। এবং প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কিছু অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজশে প্রাণীর জন্য ওষুধের বাজার গুলো সয়লাব এক্সিসের অ্যান্টিবায়োটিক ও ভিটামিনে। এবং মানহীন ও ভেজাল ওষুধ প্রাণিস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর ও ঝুঁকিপূর্ণ। উপজেলার তাহেরপুর ও ভবানীগঞ্জ পৌর বাজারসহ বাগমারার বিভিন্ন ভেটেরিনারি ওষুধের দোকান ঘুরে দেখা গেছে, এক্সিসের ছয় ধরনের অ্যান্টিবায়োটিক এবং আট ধরনের ভিটামিন ওষুধ বাজারে বিক্রি হচ্ছে। অ্যান্টিবায়োটিকগুলোর মধ্যে রয়েছে ক্রো ফসফিন ফোর্ট,ক্রো ফ্লক্স ফোর্ট, ক্রো কক্স প্লাস, ক্রো ফ্লোর ফোর্ট, এ মক্স প্লাস ও কলিস্টিন ৮০ প্লাস। এসব ওষুধের প্যাকেটে উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের নাম হিসেবে জর্দানের ‘ক্রাউন ভেট’ কম্পানির নাম ও ঠিকানা লেখা। কিন্তু প্যাকেটে নেই উৎপাদন লাইন্সেস নম্বর। এছাড়া এসব ভেটেরিনারী ওষুধ ও ভিটামিন হাঁস-মুরগি,গরু-ছাগল ও মাছের খাদ্য ও চিকিৎসায় বিক্রি হচ্ছে। প্যাকেট,লেভেল ও প্রডাক্ট ম্যানুয়ালে গুণগান ও সফলতার কথা উল্লেখ থাকলেও ব্যবহারকারীদের অভিযোগ, ভেটেরিনারী ওষুধ কিনে তারা প্রতারিত হয়েছে। এবং এ গুলো ওষুধ কোনো কাজই করে না। অনেক দোকানেই কোনো ড্রাগ লাইন্সেস নেই। নেই মানসম্মত পরিবেশ। কোনো রকম প্রশিক্ষণ ছাড়াই যে কেউ যে কোনো সময় ওষুধের দোকান খুলে বসছে। না পূর্ব অভিজ্ঞা বা সরকারি অনুমোদন। এ ছাড়াও চলে স্বল্প শিক্ষিত অল্প বয়সী কর্মচারী দিয়ে। যাদের প্রেসক্রিপশন এবং ওষুধের ডোজ সম্পর্কে কোনো অভিজ্ঞাই নেই। এর ফলে প্রেসক্রিপশনে ও ডোজ ভুলের কারণে হাঁস-মুরগি,গরু-ছাগল ও মাছের ব্যবসায়ী খামারি ও সাধারণ জনগনের পড়তে হচ্ছে নানান রকম ভোগান্তিতে। এ বিষয়ে প্রাণিসম্পদ ও ডেইরী উন্নয়ন প্রকপ্লের সদস্য সচিব, উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আতিবুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি অফিসে না আসায় তার সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি।