স্টাফ রিপোর্টার গাজীপুর :: বাল্য বিয়ে বন্ধ শীর্ষক আলোচনা সভা, বিতর্ক প্রতিযোগিতা, সঙ্গীত, গণনাটক ও র্যালি ২৯ আক্টোবর মঙ্গলবার বিকেলে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের (জিসিসি) বাইমাইল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ইউনিসেফ বাংলাদেশ-এর সার্বিক সহযোগিতায় ও জিসিসি‘র ১২ নং ওয়ার্ড আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের (জিসিসি) মেয়র আলহাজ্ব এডভোকেট মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম।
জিসিসি’র ১২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ আব্বাছ উদ্দিন খোকনের সভাপতিত্বে ও জিসিসি-ইউনিসেফ আরবান প্রকল্পের সোস্যাল এ্যান্ড বিহিবিয়ার চেঞ্জ কমিউনিকেশন কর্মকর্তা মোঃ মনোয়ারুল ইসলামের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইউনিসেফ ঢাকা ও ময়মনসিংহের ইমারজেন্সি প্রোগ্রাম অফিসার মোঃ আমানউল্লাহ, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের অঞ্চল-৭ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আবু ছাইদ মোল্লা, অঞ্চল-৮ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা নাসরীন সুলতানা, জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ খায়রুজ্জামান, জেলা তথ্য কর্মকর্তা মোঃ জালাল উদ্দিন, জিসিসি-ইউনিসেফ আরবান প্রজেক্টের সিনিয়র শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ শফিকুল হাসান, প্ল্যানিং এ্যান্ড মনিটরিং কর্মকর্তা খন্দকার আবু সালেক, বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা সুরভী’র এরিয়া কো-অর্ডিনেটর মোঃ আইয়ুব হোসেন সরকার প্রমুখ।
“একমাত্র দরিদ্র্যতাই বাল্য বিয়ের মূল কারণ” এই বিতর্ক প্রতিযোগিতার মডারেটর হিসেবে ছিলেন জিসিসি’র জনসংযোগ কর্মকর্তা ডঃ সেলিম শেখ। বিচারক হিসেবে ছিলেন আসাদুল ইসলাম, সাবিয়া তাবাসসুম শিল্পি, সালমা সিদ্দিকা। পক্ষে ছিলেন জেনুইন রেসিডেনসিয়াল স্কুল। বিপক্ষে ছিলেন হলি কেয়ার পাবলিক স্কুল।
পরে প্রধান অতিথি বিজয়ী জেনুইন রেসিডেনসিয়াল স্কুলের তার্কিদের মাঝে পুরস্কার তুলে দেন।
সভায় প্রধান অতিথি গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের (জিসিসি) মেয়র আলহাজ্ব এডভোকেট মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, একটা মেয়ে যখন মা হয় তখন তার শারীরিক সুস্থ্যতা থাকতে হবে। তার পুষ্টিগত গুন থাকতে হবে এবং তার সামাজিক মর্যাদা তৈরী যেন করতে পারে সেই হিসাবে আর্ন্তজাতিকভাবে আমাদের বিদেশী বন্ধুরা তারা সহযোগিতা করছে। আমাদের সিটি কর্পোরেশন আমরা যৌথভাবে আমাদের প্রত্যেকটি মেয়েরা যেন নিরাপদে থাকতে পারে ভবিষ্যত যেন তারা অন্য পুরুষ দ্বারা যেন নির্যাতিত না হয়, সেই হিসাবে ৫৭ ওয়ার্ডেই আমাদের প্রত্যেকটি মেয়েকে নিরাপত্তার জন্য আমার সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে এই মেয়েদের পক্ষে আমরা থাকবো।
তিনি আরো বলেন, মেয়েরা হলো মা জাতী তারা যেন সম্মানের সাথে বসবাস করতে পারে। বাপ-মা মিলে মিশে যদি কাজ করে সমাজে সংসারে কোন অভাব হয় না। মেয়েরা আমাদের কাছে নিরাপদ। পূর্বে যা হয়ে গেছে ভবিষ্যত আর কোন ভাবে অল্প বয়সী মেয়েদের যেন কেউ বিয়ে না করে এবং না দেওয়া হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। বাল্য বিয়ে রুখতে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন সর্বদা সহযোগিতা করবে।
বিশেষ অতিথি ইউনিসেফ ঢাকা ও ময়মনসিংহের ইমারজেন্সি প্রোগ্রাম অফিসার মোঃ আমানউল্লাহ বলেন, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন জোন ৭ ও ৮ এ অনুষ্ঠিত জরিপে দেখা যায় যে, কাশিমপুরে (১৫-৪৯ বছর বয়সী) ১০০ জন মহিলার মধ্যে ২৬ জনের বিয়ে হয়ে যাচ্ছে ১৫ বছর বয়স হওয়ার আগেই, আর কোনাবাড়ী এলাকায় এর হার ২১ ভাগ। আবার দেখা যাচ্ছে কাশিমপুরে (২০-৪৯ বয়সী) ১০০ জন মহিলার মধ্যে ৪০ জনের বিয়ে হয়ে যাচ্ছে ১৮ বছর বয়স হওয়ার আগেই, আর কোনাবাড়ী এলাকায় এর হার ৪৫ ভাগ। ১৫-১৯ বছর বয়সী কিশোরীর মধ্যে ৫৫ জনের বিয়ে হয়ে যাচ্ছে।