প্রবাসী অধ্যুষিত বিশ্বনাথ পৌরসভা ঘোষনার পর আলোচনা হচ্ছে প্রশাসক নিয়ে। কে হচ্ছেন প্রশাসক। দেশ-বিদেশে প্রশাসক নিয়ে চলছে আলোচনা। আলোচনায় রয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব পংকি খান, সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহমদ ও প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা, বিশিষ্ঠ শিল্পপতি আলহাজ্ব মো. সুনু মিয়া।তবে জানাগেছে, প্রশাসক হবেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের জনপ্রতিনিধি। আর সরকার প্রধান চাইলে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অথবা সম্পাদককে পৌরসভার প্রশাসক করতে পারেন। আবার অনেক সময় দেখা গেছে, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) প্রশাসক না হয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিকে পৌরসভার প্রশাসক হয়ে থাকেন। এক্ষেত্রে সচেতন মহলের ধারণা বিশ্বনাথ পৌরসভার প্রশাসক হচ্ছেন বিশ্বনাথ সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, বিশিষ্ঠ আওয়ামী লীগ নেতা মো. ছয়ফুল হক।মো. ছয়ফুল হক ১৯৬১ সালের ১৬ মে বিশ্বনাথ সদর ইউনিয়নের সরুয়ালা গ্রামের এক মুসলিম সম্ভান্ত পরিবারে জন্ম গ্রহন করেন তাঁর পিতার নাম মৃত: ছমেদ আলী ও মৃত: ছইফা খাতুন দম্পতির পুত্র। তিনি ১৯৭৭-৮৩ সাল পর্যন্ত চট্রগস্খাম সরকারি বাণিজ্য কলেজ ছাত্রলীগের সদস্য, সাংগঠনিক সম্পাদক, সহ-সভাপতি ও সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৮০-৮৬ সালে চট্রগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সদস্য, সমাজসেবা সম্পাদক ও সহ-সভাপতি ছিলেন। ১৯৯১-১৮ সাল পর্যন্ত বিশ্বনাথ উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সম্পাদক, সাধারণ সম্পাদক, আহবায়ক ও সদস্য ছিলেন। ২০০৩ সালে সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ছিলেন। ১৯৯৭ সাল থেকে আগষ্ঠ ২০১১ ও সেপ্টেম্বর ২০১৬ থেকে বর্তমানে বিশ্বনাথ সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়াম্যানের দায়িত্বে রয়েছেন। ২০০৯ সালে বিশ্বনাথ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার বাস্তবায়ন কমিটির আহবায়ক ছিলেন। ২০০১ সাল থেকে বিশ্বনাথ উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্বে রয়েছেন। বিশ্বনাথ দারুল উলুম ইসলামিয়া কামিল মাদ্রাসার সভাপতি, দক্ষিণ বিশ্বনাথ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় অ্যান্ড মহিলা কলেজের সভাপতি, রাগীব-রাবেয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি, রামসুন্দর সরকারি অগ্রগামী মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের সদস্য, বিশ্বনাথ সরকারি কলেজের সদস্য, ১৯৭৯ সালে স্বৈরাচার জিয়ার জরুরী অবস্থা চলার কারণে চট্রগ্রাম কোর্ট কলোনীতে গোপনীয়ভাবে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় সভাপতি ওবায়দুল কাদেরের উপস্থিতিতে ম্যানেজমেন্ট ১ম বর্ষের ছাত্র ছয়ফুল হককে কর্মাস কলেজ ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব দেয়া হয়। এরপর থেকে এখন পর্যন্ত সফলতার সাথে সব দায়িত্ব পালন করে আসছেন মো. ছয়ফুল হক। বিএনপি এম. ইলিয়াস আলীর সমর্থন কর্তৃক ৮টি মামলার পরও বঙ্গবন্ধুর আদর্শে নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন।গত সোমবার প্রশাসনিক পুনর্বিন্যাস সংক্রান্ত জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির (নিকার) সভায় বিশ্বনাথকে পৌরসভায় উন্নীতক করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এতে বিশ্বনাথবাসীর মধ্যে বিরাজ করছে আনন্দের বন্যা। এরই মধ্যে কে হচ্ছেন বিশ্বনাথ পৌরসভার প্রথম প্রশাসক এনিয়ে চলছে তুমুল আলোচনা।