বাগমারার ভবানীগঞ্জ বাজারের কসাইখানার জরাজীর্ণ অবস্থা

নাজিম হাসান,রাজশাহী থেকে :
রাজশাহীর বাগমারা উপজেলা সদর ভবানীগঞ্জ বাজারের কসাইখানা ভগ্নদশা দেখা দিয়েছে। পুরাতন জরাজীর্ণ টিন সেডটি(পিড়ি ঘর) উপরে ছাউনি এখন থেকেও নেই। দীর্ঘ দিন সংস্কারের অভাবে পুরাতন কসাইপট্টি ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। সমানতালে রোদ আর বৃষ্টিতে একাকারে ছাউনি সেডের দুরবস্থা। বাজারের একমাত্র কসাইখানা নোংরা, অপরিষ্কার ও অপরিচ্ছিন্ন পরিবেশ হবার কারণে রুচি হারিয়ে ফেলছে মাংস ক্রেতারা ।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার প্রাণ কেন্দ্র ভবানীগঞ্জ পৌরসভার ব্রীজঘাট সংলগ্ন কসাইপট্টিটি ৯০’র দশকে নির্মিত। বাজারের অন্যান্য ছাউনি বিভিন্ন সময়ে মেরামত করা হলেও এই কসাইপট্টির ছাউনি দীর্ঘ ২০/২৫ বছেরেও কোন সংস্কার নেই। ফলে উপরের টিনে মারা চাকতি-স্ক্রু নষ্ট হয়ে পড়েছে। এছাড়া মরচাই পুরাতন টিন মাঝে মধ্যে উঠে ফাঁকা হয়ে গেছে। এতে বৃষ্টির দিনে কসাইপট্টি বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েন মাংস ক্রেতারা। উপজেলার বালানগর গ্রামের আবু বাক্কার বলেন, উপজেলার প্রাণ কেন্দ্রে অবস্থিত কসাই পট্টির চালা ভালো না থাকায় পরিবেশ অপরিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। মাঝে মধ্যে মাংস কিনতে গিয়ে আসে পাশের অবস্থায় বিড়াম্বনা দেখা দেয়। সময় মত মাংস ক্রয় করে নাক-মুখ বন্ধ করে পালাতে হয় বলে তিনি জানান। বাজারের গোস্তের দোকানী নুরুল ইসলাম জানান, আমরা নিয়মিত গোস্ত বিক্রি করি। গত শনিবার দিনভর বৃষ্টির কারণে গোস্ত বিক্রি বন্ধ ছিল। পরিচিত অনেকে ফোন করে গোস্ত চাইলে তিনি দিতে পারেননি বলে জানান। একই ভাবে গোস্ত দোকানী মোসলেম আলী বলেন, দীর্ঘ দিন ধরে তিনি গরু জবাই করে গোস্ত বিক্রি করে আসছেন। নিয়মিত আমরা গরু প্রতি ৮০ টাকা টুল দিয়ে থাকি। কিন্তু পট্টির ছাউনির কারণে পরিবেশ নষ্ট হয়ে পড়েছে। গত ২ বছর হতে ছাউনির দুরবস্থায় পট্টিটি নোংরায় পরিনত হয়েছে। পশু জবাইয়ের পর পরিস্কার করা হলেও চাউনির কারণে আবর্জনা জমে পড়ে। আমরা কসাইপট্টিতে প্রায় ১৫/১৬ জন গরু, মহিষ ও খাশি জবাই করে বিক্রি করি। বাজারের দিন বাদে শুক্রবার ও শনিবার দুই দিন এখানে বৃহৎ হাট বসে। এতে উপযুক্ত পরিমান মহিষ, গরু খাশি জবাই হয়। প্রতিনিয়তই নির্ধারিত হারে পশু প্রতি খাজনা দেয় আমরা। তার পরও আমাদের বসার জায়গার দুরবস্থা। হাটের ইজারাদারকে বলেও কোন লাভ হচ্ছে না বলে তিনি দাবি করেন। এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শরিফ আহম্মেদ বলেন, বাজারটি উপজেলা সদর হলেও ভবানীগঞ্জ বাজার পৌরসভার অধীনে। পৌরসভার বিষয় আমাদের করার কিছু নেই। তবে বিষয়টি আমার কাছে কেউ আবেদন করেননি। এছাড়া তিনি পৌরসভার কর্তৃপক্ষকে বিষয়টির ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানাবেন বলে জানান।