গুরুদাসপুর (নাটোর) প্রতিনিধি.
নাটোরের গুরুদাসপুরে মেহেদীর রং না মুছতেই বাল্যবিয়ের বলি হলো পূর্নিমা (১৫)। মাদকাসক্ত স্বামীর নির্যাতনের শিকার হয়ে রোববার সন্ধ্যার দিকে সে দানাদার বিষপান করে। পরে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন নেয়া হয়। এর কিছুক্ষণ পর পূর্নিমা মারা গেলে তার স্বামী ও শ^শুড় বাড়ির লোকজন হাসপাতালে লাশ রেখে পালিয়ে যায়।
পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, পাঁচ মাস আগে উপজেলার খুবজীপুর ইউনিয়নের শ্রীপুর গ্রামের পলান কাজীর মেয়ে পূর্নিমার বিয়ে হয় একই গ্রামের লিয়াকত আলীর ছেলে সাগরের সাথে। বিয়ের পর থেকেই মাদকাসক্ত সাগর (২২) স্ত্রী পূর্নিমার ওপর নির্যাতন করে আসছিল। এক পর্যায়ে শ^শুড় বাড়ির নানা কাজের চাপ ও অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যা করে পূর্নিমা। সে শ্রীপুর আদর্শ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী ছিল।
অপরদিকে পূর্নিমার লাশ হাসপাতালে রেখেই তার পিতার সাথে শ^শুড়বাড়ির লোকজনের মধ্যে মিমাংসার চেষ্টা চলছিল। হাসপাতাল সূত্রে পুলিশ খবর পেয়ে পূর্নিমার লাশ উদ্ধার করে নাটোর মর্গে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। এ ঘটনায় গুরুদাসপুর থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে বলে ওসি মোজাহারুল ইসলাম নিশ্চিত করেছেন।