পাকিস্তানের আকাশপথ ব্যবহার নিয়ে আবারো দেশটির দ্বারস্থ হয়েছে ভারত। এবারো একপ্রকার ‘পাত্তা’ না দিয়ে ভারতকে ফিরিয়ে দিয়েছে ইসলামাবাদ।
ঘটনার বিস্তারিত সম্পর্কে জানা যায়, সোমবার সৌদি আরবে যাবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখানে অনুষ্ঠিত বিজনেস ফোরামে অংশ নেবেন। এই সৌদি সফরে যাওয়ার সময় মোদির বিমানকে পাকিস্তানের আকাশপথ ব্যবহার অনুমতি দেয়নি পাক সরকার।
এনিয়ে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশি জানান, মোদিকে তাদের আকাশপথ ব্যবহারের অনুমতি দেবে না সরকার। এ বিষয়ে পাকিস্তানে ভারতীয় হাই কমিশনকে লিখিত ভাবে জানিয়ে দেয়া হয়েছে।
পাকিস্তানের এমন সিদ্ধান্তে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রবীশ কুমার তীব্র বিরোধিতা করে জানান, আন্তর্জাতিক মঞ্চে পাকিস্তানের এই সিদ্ধান্তের প্রভাব পড়তে পারে। গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের বিমান নিয়ে পাকিস্তান যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তার ফল ভুগতে হবে।
এর আগে গত সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘের সমাবেশে যোগ দিতে যাওয়ার সময় মোদির বিমানকে সে দেশের আকাশপথ ব্যবহারের অনুমতি দেয়নি পাক সরকার। এছাড়া ওই মাসেই আইসল্যান্ড যাওয়ার সময়ে ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের বিমানও পাক আকাশ পথ ব্যবহারের অনুমতি দেয়নি পাকিস্তান।
গত আগস্টে কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা তুলে নেয় বিজেপি শাসিত ভারত সরকার। এর তীব্র নিন্দা জানায় পাকিস্তান। সেইসঙ্গে কাশ্মীরের জনগণের পাশে থাকার ঘোষণা দেয় পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। তারই প্রেক্ষিতে দেশটি তাদের আকাশপথ ব্যবহার ভারতের জন্য বন্ধ করে দেয়।