সাঁথিয়া প্রতিনিধিঃ
পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার টলট গ্রামের ৫ম শ্রেণির ছাত্রীকে বিয়ের আসর থেকে উদ্ধার করে নিজ হেফাজতে নিয়ে শিক্ষার খরছ দিবেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার এসএম জামাল আহমেদ। ঘটক,বরের চাচা ও বন্ধুকে আটক করে কারাদন্ড প্রদান।
শুক্রবার বিকালে উপজেলার টলট গ্রামের মনিরুল ইসলামের মেয়ে ৫ম শ্রেণির ছাত্রী মনিরা খাতুন (১২) এর বিয়ের প্রস্তুতি চলছিল। এ সংবাদের ভিত্তিতে বিয়ে বাড়িতে উপস্থিত হন নির্বাহী অফিসার জামাল আহমেদ । ইউএনও’র উপস্থিতি টের পেয়ে মেয়ের বাবা ও বরসহ অনেকেই পালিয়ে যায়। বিয়ে দেবার চেষ্টায় ঘটক ইসমাইল হোসেন (৫৫), কাবাস কান্দা গ্রামের বরের চাচা আনোয়ার হোসেন (৩২) ও বন্ধু শাহীন শেখকে আটক করা হয়। আটককৃতদেরকে ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজেষ্ট্রেট ও নির্বাহী অফিসার জামাল আহমেদ প্রত্যেককে ১ মাস করে কারাদন্ড প্রদান করেন। ছাত্রী মনিরাকে বয়স না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে দিবে না মর্মে মুচলেকা নিয়ে মা হাসিনা খাতুনের জিম্মায় দেওয়া হয়। সাজাপ্রাপ্ত তিনজনকে সাঁথিয়া থানা পুলিশের নিকট হস্তান্তর করা হয়।
এদিকে ৫ম শ্রেণির ছাত্রী মনিরা খাতুনের শিক্ষা বাবদ সকল খরচের দায়িত্ব উপজেলা প্রশাসন বহন করবে মর্মে নির্বাহী অফিসার জামাল আহমেদ ছাত্রীর মা হাসিনা খাতুনকে আশ্বাস দেন।
এ বিষয়ে সাঁথিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার এসএম জামাল আহমেদ জানান, উপজেলার টলট গ্রামে বাল্য বিয়ে হচ্ছে এমন সংবাদে অভিযানে বিয়ের আসর থেকে ঘটক ও বরের আত্বীয়দের আটক করি। পরে তাদের কারাদন্ড প্রদান করা হয়।