ইয়ানূর রহমান : চেক ডিজঅনার মামলায় ঝিকরগাছা উপজেলার হাজিরবাগ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মিন্টুকে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। একই সাথে ৩ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
সোমবার যশোরের যুগ্ম দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক শিমুল কুমার বিশ্বাস এক রায়ে এ আদেশ দিয়েছেন।
সাজাপ্রাপ্ত আতাউর রহমান মিন্টু জেলার ঝিকরগাছা উপজেলার মাটিকুমড়া গ্রামের মৃত আলতাফ হোসেনের ছেলে ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। সে পরপর ২ মেয়াদে হাজিরবাগ ইউনিয়ন পরিষদের আওয়ামী লীগের মনোনিত হয়ে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, আতাউর রহমান মিন্টু ২০১৭ সালের ৩ মার্চ চাকরি দেয়ার কথা বলে উপজেলার ইস্তা গ্রামের নুর-উন-নবীর ছেলে খায়রুল ইসলামের কাছ থেকে ৮ লাখ ৩০ হাজার টাকা নেন। পরবর্তিতে চাকরি দিতে ব্যর্থ হওয়ায় টাকা ফেরত চাইলে চেয়ারম্যান তালবাহানা করতে থাকেন। একপর্যায়ে তিনি খায়রুল ইসলামকে ৫ লাখ টাকা ফেরত দেন। পরবর্তীতে চেয়ারম্যান মিন্টু ২০১৮ সালের অক্টোবর মাসে ১০ তারিখে বেসিক ব্যাংক, ঝিকরগাছা শাখার অনুকূলে ৩ লাখ টাকার একটি চেক দেন। একই মাসের ১৫ তারিখে চেকটি ব্যাংকে জমা দিলে পর্যাপ্ত টাকা না থাকায় পরের দিন ব্যাংক কর্তৃপক্ষ চেকটি ডিজঅনার করে।
এ ব্যাপারে চেয়ারম্যান মিন্টুকে উকিল নোটিশের মাধ্যমে ২৫ অক্টোবর টাকা পরিশোধের অনুরোধ করা হয়। কিন্তু তিনি উকিল নোটিশের জবাব না দেয়ায় চলতি বছর ১৯ জানুয়ারি আদালতে মামলা করেন খায়রুল ইসলাম। মামলায় আসামি আতাউর রহমান মিন্টু প্রথম দিনে হাজিরা দিয়ে জামিন নিয়ে আর কোনদিন আদালতে হাজির হননি। মামলার সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে আসামি মিন্টুর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক তাকে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড ও ৩ লাখ টাকা জরিমানার আদেশ দিয়েছেন। রায়ের দিনও আসামি মিন্টু পলাতক ছিল