বদিয়ার রহমান,লালমনিরহাট।
লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের শঠিবাড়ী বাজারের নিকটস্থে ফেডারেশনের পাশে বিধুবা নুরজাহান বেগম নামের এক বাড়ীতে প্রায় দুই বছর ধরে লতিফুন নেছা (৬৫) নামের এক বৃদ্ধাকে পায়ে শিকল লাগিয়ে বেঁধে রেখেছে। তবে স্থানীয়রা জানিয়েছেন বিধুবা নুরজাহান বেগম লতিফুন নেছার আপন বোন। জানাগেছে, প্রায় দেড় বছর পুর্বে দুটি সন্তান নিয়ে বৃদ্ধা লতিফুন নেছাকে ডিভোর্স দেন ওই ইউনিয়নের দীঘলটারী গ্রামের আছিমুল্যা মিয়া। পরে বৃদ্ধা লতিফুন নেছা তার আপন বিধুবা বোন নুরজাহানের বাড়ীতে আশ্রয় নেন। কিছুদিন না যেতেই মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে পড়েন বৃদ্ধা লতিফুন। পাশে শঠিবাড়ী বাজারে পেটের দায়ে দোকান পাটে খাবার খোজেন বৃদ্ধা লতিফা। খাবার না পেয়ে বিভিন্ন জিনিষপত্র ক্ষতি করে এমন অভিযোগ দোকান মালিকেরা বিধুবা নুরজাহানকে জানান। ফলে বিধুবা বোন নুরজাহান মানসিক ভারসাম্যহীন বোন বৃদ্ধা লতিফুন নেছাকে পায়ে লোহার শিকল পড়িয়ে ফেডারেশনের পাশের গাছে বেঁধে রাখেন। এমন অবস্থায় ঝড়-বৃষ্টি,রোদ-তুফান এভাবে বছরকে বছর ধরে তার উপর বয়ে যাচ্ছে। এব্যাপারে বিধুবা বোন নুরজাহান জানান, নিজের যা আছে তাই দিয়ে রংপুরসহ বিভিন্ন স্থানে চিকিৎসা করেছি। একটু ভাল হলেও অর্থের অভাবে চিকিৎসা করতে না পেরে সে পুনরায় মানসীক ভারসাম্যহীন হয়ে পড়ে। বাজারে দোকান মালিকদের ক্ষতি করে বিধায় এভাবে বেঁধে রাখা হয়। স্থানীয় ইউপি সদস্য মোঃ রফিকুল ইসলাম জানান, তার চিকিৎসার প্রয়োজন হলেও অর্থের অভাবে বোন নুরজাহান চিকিৎসা করতে পারছেনা। কিছু টাকা পয়সা দিয়ে চিকিৎসা করালে বৃদ্ধা লতিফুন নেছা সুস্থ হতে পারে। তাই সকলের সাহায্যের প্রয়োজন।