হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে ভর্তি সম্রাট

ভ্রাম্যমাণ আদালতে দণ্ডপ্রাপ্ত ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট গুরুতর অসুস্থ। সোমবার রাতে তাকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ঢাকা মেডিকেলে আনা হয়। পরে সেখান থেকে তাকে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।

হৃদরোগ হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ড. আফজালুর রহমান জানিয়েছেন, সম্রাটকে ভর্তি করা হয়েছে। তিনি এখন হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে রয়েছেন।

অবস্থা খুবই সংকটাপন্ন বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর দক্ষিন যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাকসুদুর রহমান মাকসুদ।

আজ সকালে হাসপাতালে এক ব্রিফিংয়ে সম্রাটের দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, এখন তার অবস্থা স্থিতিশীল আছে। প্রাথমিকভাবে সিসিইউতে ভর্তি করা হয়েছে। এখন সব পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে যদি অবস্থা মোটামুটি ভালো মনে হয় তবে তাকে ওয়ার্ড বা কেভিনে স্থানান্তর করা হবে।

এর আগে গত ৫ অক্টোবর গভীর রাতে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থানার আলকরা ইউনিয়নের কুঞ্জশ্রীপুর গ্রামে অভিযান চালায় র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। ওই গ্রামের জামায়াত নেতা মনির চৌধুরীর বাড়ি থেকে সম্রাট ও আরমানকে আটক করা হয়। পরে তাদের সঙ্গে নিয়ে ৬ অক্টোবর দিনভর রাজধানীতে সম্রাট ও আরমানের বাড়িতে অভিযান চালায় র‌্যাব।

এছাড়া মদ্যপ অবস্থায় পেয়ে আটকের সময়ই আরমানকে ছয়মাসের কারাদণ্ড দেন র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। আর কাকরাইলের কার্যালয়ে বন্যপ্রাণীর চামড়া সংরক্ষণের দায়ে সম্রাটকেও একই মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়। এরপর সম্রাটকে কেরানীগঞ্জে অবস্থিত ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। আর আরমানের জায়গা হয় কুমিল্লা কারাগারে।

এ অবস্থায় গতকাল সোমবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে রমনা মডেল থানায় র‌্যাব-১ এর ডিএডি আব্দুল খালেক বাদী হয়ে সম্রাটের নামে অস্ত্র ও মাদক আইনে পৃথক দু’টি মামলা করেন। এর মধ্যে যুবলীগের সহ-সভাপতি এনামুল হক আরমানকেও মাদক মামলায় আসামি করা হয়েছে।