রুশ রাষ্ট্রীয় পারমাণবিক শক্তি কর্পোরেশন রসাটমের মহাপরিচালক আলেক্সি লিখাচোভ জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত প্যারিস চুক্তির সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে পারমাণবিক প্রযুক্তির সম্ভাবনাকে সর্বোচ্চ কাজে লাগানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন। তিনি সম্প্রতি ভিয়েনায় সমাপ্ত আন্তর্জাতিক পরমাণু সংস্থা আইএইএ’র ৬৩তম বার্ষিক সাধারন সভার প্লেনারি সেশনে বক্তব্য রাখছিলেন।
এবারের আইএইএ সাধারন সভায় ১৭০টির অধিক সদস্য রাষ্ট্র থেকে উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি দল অংশগ্রহন করে। সভায় অংশগ্রহনকারীরা বিশ্বের পারমাণবিক শিল্পে পারষ্পরিক সহযোগিতার জন্য অগ্রাধিকার খাতগুলো চিহ্নিত করাসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন।
পারমাণবিক প্রযুক্তির বহুমুখী ব্যবহারের উপর আলোকপাত করে লিখাচোভ বলেন, “ক্ষুদ্র ও মাঝারি ক্ষমতাসম্পন্ন রিয়্যাক্টর বর্তমানে একটি সম্ভাবনাময় ক্ষেত্র। এ প্রযুক্তি দূর্গম অঞ্চলের উন্নয়নের জন্য প্রয়োজনীয় নিরাপদ ও সাশ্রয়ী বিদ্যুৎ বিদ্যুৎ সরবরাহের সূযোগ সৃষ্টি করেছে”।
উজবেকিস্তানে উচ্চ ক্ষমতাসমপন্ন পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের ওপর আয়োজিত একটি সেশনে বক্তব্য রাখাকালীন রোসাটমের অন্য একটি প্রতিষ্ঠান রুসাটম ইন্টাঃ নেটওয়ার্কের প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্ডার মেরটেন জাতীয় পারমাণবিক কর্মসূচী বাস্তবায়নের প্রতিটি ধাপে জনগনের মাঝে এটির গ্রহনযোগ্যতা বৃদ্ধির গুরুত্ব তুলে ধরেন।
“পেশাদার সমাজ এবং পারষ্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধি” শীর্ষক এনার্জি সেক্টরে মানবসম্পদ উন্নয়ন সংক্রান্ত একটি সেশনও আয়োজন করে রসাটম কর্পোরেট একাডেমি।
সম্মেলন চলাকালীন উগান্ডা ও ডমিনিক রিপাবলিকের সঙ্গে পারমাণবিক শক্তির শান্তিপূর্ন ব্যবহার সংক্রান্ত দু’টি আলাদা আন্তঃসরকারি চুক্তি স্বাক্ষর করে রাশিয়া। পরমাণু শিল্পে অর্থনৈতিক মূল্যায়ন প্রক্রিয়ায় সহযোগিতার লক্ষ্যে আইএইএ’র সঙ্গে আরও একটি চুক্তি স্বাক্ষর করে রসাটম।
অন্যবারের মতো এবারও রসাটম আইএইএ সম্মেলনে তাদের অত্যাধুনিক পারমাণবিক প্রযুক্তি প্রদর্শন করার পাশাপাশি জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে এগুলোর ভূমিকাও তুলে ধরে।