বিশ্বনাথ প্রতিনিধি :: শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষ্যে সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার বিভিন্ন পূজা মন্ডপ পরিদর্শন করেছেন সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি কামরুল হাসান বিপিএম। রোববার রাতে উপজেলার শিব ও দূর্গা বাড়ি সার্বজনীন পূজা মন্ডপ (দিঘলী) এবং জানাইয়া সার্বজনীন পূজা মন্ডপ (জানাইয়া) পরিদর্শন করেন তিনি।পুজা মন্ডপ পরিদর্শনকালে ডিআইজি কামরুল হাসান বিপিএম বলেন, বাংলাদেশে ধর্মীয় স্বাধীনতা আছে। তাই এখানে প্রত্যেক ধর্মের মানুষরা নিজেদের ইচ্ছানুযায়ী ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালন করতে পারেন। তবে উৎসবের আনন্দ প্রত্যেক ধর্মের মানুষ মিলেমিশে উপভোগ করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র নেতৃত্বে উন্নয়নের মহাসড়কে থাকা বাংলাদেশে দিন দিন দূর্গাপূজার পরিমাণ বৃদ্ধিই বলে দেয় এখানে সাম্প্রদায়িক সম্প্রতির বন্ধন কত শক্তিশালী অবস্থানে আছে। আর দৃশ্যমান সকল ভাল কাজের সাথে উদার গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের পুলিশ বাঙালী সমাজের পাশে থাকবে সব সময়। তাই শান্তিপূর্ণভাবে দুর্গাপূজা সম্পন্ন করতে পুলিশের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ নিরাপত্তার ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে।বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সিলেট জেলা পুলিশের পুলিশ সুপার ফরিদ উদ্দিন আহমদ পিপিএম বলেন, বাংলাদেশের সব চেয়ে বড় সৌন্দর্য্য ভ্রাতৃত্ববোধ। তাই সকলের প্রচেষ্টায় বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র নেতৃত্বে দেশ অপ্রতিরোদ্ধ গতিতে এগিয়ে চলছে। আর বাংলাদেশ যে বিশ্বের বুকে মাথা উচুঁ করে দাড়িয়ে যাচ্ছে তা দেখে স্বাধীনতা বিরুধী চক্র সরকারকে বিপদগ্রস্থ করতে নানান অপচেষ্টা করছে আর নানান গুজব ছড়াচ্ছে। তাই কোন ধরণের গুজবে কান দেবেন না। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বেই অটুট থাকবে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের ভ্রাতৃত্ববোধ। আর পূজার সার্বিক নিরাপত্তার পুলিশের পাশাপাশি আওয়ামী পরিবারের সদস্যরাও স্বজাগ দৃষ্টি রাখছেন সর্বদা।অজিত কুমার পাল ও তনয় দাশ পুরকায়স্থ চপলের সভাপতিত্বে এবং রুপক কুমার দে, কানু রঞ্জন দে ও বিষু দে’র পরিচালনায় পৃথক সভাগুলোতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিশ্বনাথ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম নুনু মিয়া, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বর্ণালী পাল, সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি তাপস দাশ পুরকায়স্থ, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের কার্যনির্বাহী সদস্য নিশি কান্ত পাল।পূজা মন্ডপ পরিদর্শনকালে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার ইমাম মোহাম্মদ সাদিধ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) আমিনুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ওসমানীনগর সার্কেল) সাইফুল ইসলাম, বিশ্বনাথ থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) শামীম মুসা, পরিদর্শক (তদন্ত) রাম প্রসাদ চক্রবর্তী, বিশ্বনাথ সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছয়ফুল হক, লামাকাজী ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান-১ এনামুল হক এনাম মেম্বার, উপজেলা হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সমরেন্দ্র বৈদ্য সমর, উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহমদ, যুগ্ম সম্পাদক মকদ্দছ আলী, প্রচার সম্পাদক নিখিল পাল, বন ও পরিবেশ সম্পাদক রুনু কান্ত দে, সাবেক যুগ্ম সম্পাদক এইচ এম ফিরুজ আলী, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক শাহনুর হোসাইন, সহ প্রচার সম্পাদক বশির আহমদ, উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক জয়ন্ত কুমার দাশ, যুগ্ম সম্পাদক বিভাংশু গুন বিভু, প্রচার সম্পাদক প্রনঞ্জয় বৈদ্য অপু, দপ্তর সম্পাদক অজয় দেব, সাংস্কৃতিক সম্পাদক শুভরাজ চন্দ, বিশ্বনাথ প্রেসক্লাবের সহ সভাপতি তজম্মুল আলী রাজু, যুগ্ম সম্পাদক এমদাদুর রহমান মিলাদ, কোষাধ্যক্ষ মোহাম্মদ আলী শিপন, সদস্য নূর উদ্দিন, মো. আবুল কাশেম, বিশ্বনাথ সাংবাদিক ইউনিয়নের কোষাধ্যক্ষ পাবেল সামাদ, সদস্য আব্বাস হোসেন ইমরান, সাংবাদিক আক্তার আহমদ শাহেদ, সদর ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার ফজর আলী, যুবলীগ নেতা সাফায়েত খান, সায়েদ আহমদ, রাজু আহমদ খান, জমির আহমদ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা সিজিল মিয়া, জহির উদ্দিন, ছাত্রলীগ নেতা মিয়াদ আহমদ, হিমেল মিয়া প্রমুখসহ বিভিন্ন শ্রেণী- পেশার ব্যক্তিবর্গ।