আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘ফুল’ বলা নিয়ে বিতর্কে জড়িয়ে পড়েছেন যুব মহিলা লীগের সভাপতি নাজমা আক্তার ও সাধারণ সম্পাদক অপু উকিল।
যুক্তরাষ্ট্রে আট দিনের সফর শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মঙ্গলবার (০১ অক্টোবর) দেশে ফিরে গণভবনে পৌঁছলে তাকে ফুলের শুভেচ্ছা জানাতে সামনে এগিয়ে যান বেশ কয়েকজন নারী নেত্রী। এসময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কী হবে ফুল দিয়ে? তোমরাই তো আমার একেকটা ফুল।’ প্রধানমন্ত্রীর এই ‘ফুল’ বলা নিয়ে সেখানে উপস্থিত যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক অপু উকিল বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী তাকে ফুল বলেছেন। অন্যদিকে সংগঠনের সভাপতি নাজমা আক্তার দাবি করেছেন, প্রধানমন্ত্রী সবাইকে ফুল বলে অভিহিত করেছেন।
ফেসবুকে এ বিষয়ে এই দুই নারী নেত্রী পৃথক দুটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন। যা বেশ আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
মঙ্গলবার এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক অপু উকিল লিখেছেন, ‘‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা যখন সরকারি কিংবা বেসরকারি সফরে দেশের বাইরে অবস্থান করেন তখন কেমন যেন একটা শুন্যতা অনুভব করি। মনে হয় আকাশ ভরা লক্ষ তারার মেলা তবুও যেন সেখানে আধাঁরের লুকোচুরি খেলা, সদলবলে জমকালো রংয়ের বর্ণচ্ছটারা কেমন যেন বিমর্ষ বোধ করছে। তিঁনি আজ ভোর রাতে দেশে ফিরবেন, তাকে শুভেচ্ছা জানাতে গণভবনে যাব, এই আনন্দ বার্তায় সারারাত একটুও ঘুমোইনি। গণভবনে আমরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি প্রাণপ্রিয় নেত্রীর শুভাগমনের জন্য। তিঁনি এলেন এবং যথারীতি সকলের সঙ্গে কুশল বিনিময় করে গণভবনের সিঁড়ির দিকে এগুলেন। আমি প্রাণ ভরে তাঁকে শুভ জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানালাম। দুটি আওয়ার্ড পেয়েছেন সেজন্য ফুলের শুভেচ্ছা জানালাম। প্রতিউত্তরে নেত্রী মাতৃসম স্নেহে, ভালোবাসার দরদী কণ্ঠে, সহাস্যবদনে বললেন, ‘তুমিই তো একটা ফুল, তোমরা সবাই আমার কাছে এক একটা ফুল”—- মহাসমুদ্রসম ভালোবাসায় আবেগাপ্লুত আমি অবনত চিত্তে প্রাণের নেত্রীকে বললাম, থ্যাংক ইউ আপা, আপনার ভালবাসাই আমাদের প্রাণশক্তি। আমরা প্রতিটি মুহূর্ত চাতক পাখির মতো শুধুই আপনার ভালোবাসার অপেক্ষায় থাকি। আপনি সবসময় ভালো থাকুন’’
এদিকে প্রধানমন্ত্রী সবাইকে ফুল বলেছেন দাবি করে বুধবার যুব মহিলা লীগের সভাপতি নাজমা আক্তার ফেসবুকে লিখেছেন, ‘‘গতকাল গণভবনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী উপস্থিত নারী নেত্রীদের ‘তোমরাই আমার ফুল’ বলে অভিহিত করেছেন। উক্তিটিকে ব্যক্তি নামে চালিয়ে দেওয়া – হীনমন্যতার সামিল। অসত্য – বানোয়াট কথা বলাও এক ধরনের দুর্নীতি।’’