বিশ্বনাথে প্রতিমায় রঙের আঁচড় দিতে ব্যস্ত শিল্পীরা বিশ্বনাথ প্রতিনিধি :: সনাতন ধর্মালম্বীদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গা পূজা। আগামী ৪ অক্টোবর এ দুর্গোৎসব শুরু হতে যাচ্ছে। ইতিমধ্যে ভাস্কররা প্রতিমায় মাটির কাজ শেষ করে রঙের প্রলেপ দিতে শুরু করেছেন। সিলেটের বিশ্বনাথে এবার ২৬টি মন্দিরে শারদীয় দুর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিমাকে দৃষ্টিনন্দন করতে শিল্পীরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
উপজেলায় এ বছর সার্বজনীন ২১টি ও ব্যক্তিগত ৫টি পূজা মণ্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হবে। শারদীয় দুর্গোৎসব সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট পূজা মণ্ডপ ও পূজা পরিষদ সজাগ দৃষ্টিতে কাজ করে যাচ্ছে। আগামী ৪ অক্টোবর শারদীয়া দুর্গা পূজা শুরু হবে এবং ৮ অক্টোবর দশমী পূজা ও বির্সজনের মধ্যে দিয়ে এ উৎসবের সমাপ্তি হবে। উপজেলাগুলোতে চারিদিকে উৎসব উৎসব ভাব বিরাজ করছে সনাতন ধর্মলম্বীদের মধ্যে। পূজার আর মাত্র কয়েকদিন বাকি থাকলে উপজেলায় দুর্গা পূজার ব্যাপক প্রস্তুতি চলছে।
রবিবার সকালে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, বিভিন্ন মণ্ডপে প্রতিমা তৈরির কাজ প্রায় শেষ। অনেক প্রতিমা শিল্পীরা এখন রং তুলির কাজ করছেন। এ সপ্তাহ দিকে প্রতিমা শিল্পীরা রং তুলির কাজ শেষ করবেন।
উপজেলার বাগিছা বাজার মণ্ডপে মাটির কাজ শেষ করে রঙের প্রথম প্রলেপ দিচ্ছেন প্রতিমা তৈরি কারিগর বিধান আচার্য। তিনি এ বছর চারটি মণ্ডপে প্রতিমা তৈরির কাজ করছেন। গত দেড় মাস ধরে তিনি এসব মন্দিরের প্রতিমা তৈরি করছেন। প্রতিটি মণ্ডপে প্রতিমা তৈরির পারিশ্রমিক পাবেন ৪০ হাজার টাকা করে এমটাই জানান তিনি।
উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি অজিত কুমার পাল বলেন, আগামী ৪ অক্টোরব শারদীয়া দুর্গা পূজা শুরু হবে এবং ৮ অক্টোবর দশমী পূজা ও বির্সজনের মধ্যে দিয়ে এ উৎসবের সমাপ্তি হবে।
বিশ্বনাথ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শামীম মুসা বলেন, উপজেলার পূজা মণ্ডপগুলোতে পুলিশ মোতায়েন থাকবে। পূজা মণ্ডপগুলোতে যারা বিশৃংঙ্খলা সৃষ্টি করার চেষ্টা করবে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।