ঈশ্বরদীতে অধ্যক্ষের স্বাক্ষর জাল থানায় মামলা দায়ের

ঈশ্বরদী (পাবনা) সংবাদদাতাঃ
দাশুড়িয়া ডিগ্রি কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুল কাদেরের বিরুদ্ধে স্বাক্ষর ও সীলমোহর জালের অভিযোগে থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। ঈশ্বরদী থানার অফিসার ইনচার্জ বাহাউদ্দিন ফারুকী ৪১৯,৪৬৭ ও ৪৬৮ ধারায় সোমবার রাতে মামলা মামলা দায়ের হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন। মামলা নম্বর ৬৪। কলেজের পক্ষে মামলার বাদী ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ শহিদুল ইসলাম। মামলার অভিযোগে জানা যায়, সাবেক অধ্যক্ষ আঃ কাদেরের বিরুদ্ধে কলেজের তহবিল হতে বিভিন্ন উপায়ে আর্থিক দূর্র্নীতির তদন্ত চলা অবস্থাতেই তিনি ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের স্বাক্ষর জাল এবং নিজেই সীলমোহর লাগিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ব্যানবেইসে অবসর ও কল্যাণ তহবিলের ভাতা উত্তোলনের জন্য আবেদন জমা দেন। পরে ০১১২৭২ ইনডেক্স নম্বরধারী অধ্যক্ষ কাদের সোনালী ব্যাংকের ঈশ্বরদী শাখা হতে দুটি চেকের মাধ্যমে ৪২ লাখ টাকা উত্তোলন করেন। এটি জালিয়াতি ও আইনের লংঘন বলে অভিযোগ করা হয়েছে। এরআগে ১/৭/১৯ তারিখে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ জালিয়াতির বিষয়ে ঈশ্বরদী থানায় সাধারণ ডায়েরী করেন। জিডি নং-৫৪।
ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ জানান, গভর্নিং বডির সভায় দূর্নীতি তদন্তের জন্য জিবি সদস্য সাইদুর রহমান মান্না সরদারকে আহব্বায়ক এবং আবু বাশার সিদ্দিকী ও দাশুড়িয়ার চেয়ারম্যান বকুল সরদারকে সদস্য করে ৩ সদস্য বিশিষ্ঠ তদন্ত কমিটি গঠিত হয়। তদন্তের কারণে গভর্নিং বডির সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী অবসরকালীন ভাতা ও কল্যাণ তহবিলের টাকা উত্তোলনের জন্য ছাড়পত্র দেওয়া হয়নি।
এব্যাপরে কলেজ গভর্নিং বডির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী আহম্মদ হোসেন ভূইয়া বলেন, সাবেক অধ্যক্ষ আমার স্বাক্ষরও জাল করেছেন। তাই জরুরী ভিত্তিতে গভর্নিং বডির সভায় তার বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
সাবেক অধ্যক্ষ আব্দুল কাদের মোবাইলে তিনি মামলা দায়ের হওয়ার ঘটনা জানেন অবগন নন বলে জানিয়েছেন। স্বাক্ষর ও সীলমোহর জালিয়াতি বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি কোন উত্তর না দিয়ে ফোন কেটে দেন।