রাজশাহীতে গায়ে আগুন দিয়ে কলেজ ছাত্রীর আত্মহত্যার চেষ্টা

নাজিম হাসান,রাজশাহী থেকে :
রাজশাহীতে স্বামীর সাথে পাবিবারিক বনিবনা না হওয়ায় থানায় অভিযোগ করতে গিয়ে লিজা রহমান (২০) নামে এক কলেজ ছাত্রীর গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে। গতকাল শনিবার দুপুরে মহানগরীর সপুরায় অবস্থিত রাজশাহী কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের সামনে ওই ছাত্রী আত্মহত্যার চেষ্টা করে। পরে তাকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। আহত লিজার বাড়ি গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায়। তিনি রাজশাহী মহিলা কলেজের দ্বিতীয়বর্ষের ছাত্রী। তার স্বামীর নাম সাখাওয়াত হোসেন তার বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার নাচোল উপজেলায়। পুলিশ জানায়, তার স্বামীর সাথে শনিবার সকালে তাদের পারিবারিক সমস্যা হয়। এক পর্যায়ে সে তাকে ছেড়ে চলে যেতে চাই। এতে লিজা তাকে হুমকি দেয়। পরে লিজার শ্বশুর ও শ্বাশুড়ি এসে সাখাওয়াতকে নিয়ে চলে যায়। এবং এ বিষয়ে মহানগরীর বোয়ালিয়া থানায় একটি জিডির প্রক্রিয়া চলছিলো। এসময় লিজা থানায় যায় বিষয়টি মিমাংসার জন্য। পরে সেখান থেকে বের হয়ে সে আত্মহত্যা চেষ্টা চালায়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, শনিবার দুপুর অড়াইটার দিকে লিজা তার গায়ে আগুন দেয়। পরে নজরে আসে স্থানীয়দের। সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসকরা জানান, তার শরীরের সামনে কোমরের ওপর থেকে মুখমন্ডল শ্বাসনালীসহ প্রায় ৪৫ শতাংশ পুড়ে গেছে। তার অবস্থা বর্তমানে আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। বিষয়ে শাহমখদুম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদ রানা বলেন, ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করে রামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে সেই ছাত্রী থানায় অভিযোগ করতে আসেনি। তিনি ভিকটিম সেন্টারে অভিযোগ করতে গিয়ে নাম লিখিয়ে চলে যান। এবিষয়ে আরএমপির অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার সদর ও নগর পুলিশের মুখপাত্র গোলাম রুহুল কুদ্দুস বলেন, সে প্রথমে থানায় যায়। পরে সেখানে তার স্বামীর সাথে সমঝোতার কথা বলেন। পরে ওসি তাকে ভিকটিম সার্পোট সেন্টারে অভিযোগ করতে বলেন। সেখানে গিয়ে সে তার নাম ঠিকানা বলার পর মামলা করবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বেরিয়ে যান। পরে সে কেরোসিন কিনে গায়ে আগুন দেয় বলে জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।