দুই পরিচালক লোকমান হোসেন ভুইয়া ও মাহবুব আনামের বিপক্ষে ওঠা অভিযোগ প্রমাণিত হলে বোর্ড তাদেরকে ছাড় দেবে না বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। অবৈধ মদ রাখার অভিযোগে র্যাব-২ এর একটি দল গত বৃহস্পতিবার রাতে বিসিবি পরিচালক এবং মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের ডাইরেক্টর ইনচার্জ লোকমান হোসেনকে গ্রেফতার করে। বিভিন্ন ক্লাবে অবৈধ ক্যাসিনোর বিপক্ষে অভিযান শুরুর চার দিন পর লোকমানকে তার বাসা থেকে গ্রেফতার করা হয়।
লোকমান গ্রেফতার হওয়ার আগে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে বিসিবির আরেক পরিচালক মাহবুব আনামকে তার সম্পদের বিবরণী জমা দিতে নোটিশ দেয় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুর্নীতির বিরুদ্ধে এমন কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানিয়ে বিসিবি সভাপতি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর ন্যায় বোর্ডও জিরো টলারেন্স নীতিতে বিশ্বাসী।’
শুক্রবার পাপন সাংবাদিকদের বলেন, ‘এখানে বিব্রত হওয়ার কিছু নেই। দুর্নীতির সঙ্গে কেউ যুক্ত থাকলে তাকে শাস্তি পেতে হবে। এর সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করার কিছু নেই। প্রধানমন্ত্রীর নেওয়া পদক্ষেপ আমাদের সমাজের জন্যই মঙ্গলজনক। কেবলমাত্র তিনিই এ ধরনের কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারেন এবং এটা অন্য কারো (কঠোর পদক্ষেপ) পক্ষে সম্ভব নয়। এ দুই পরিচালকের বিষয়টি এখন তদন্তাধীন। আমাদের পক্ষ থেকে এখুনি কিছু বলা কঠিন। যেকোনো ব্যক্তির কাছেই সম্পদ বিবরণী চাইতে পারে দুদক। লোকমানের বিপক্ষে অবৈধ জুয়া খেলার জন্য ক্লাব ভাড়া দেয়া অভিযোগ উঠেছে। ক্যাসিনোর সঙ্গে তার কোন সম্পর্ক থাকলে তাকে শাস্তি পেতে হবে। তবে বোর্ড এই মুহূর্তে কোন ব্যবস্থা নিতে পারে না। তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ প্রমাণিত হলে বোর্ড নিয়মানুযায়ী ব্যবস্থা নেবে। অপরাধে জড়িতে কোন ব্যক্তিকেই বিসিবি কখনো প্রশ্রয় দেয় না’
পাপন বলেন, ‘দেশ থেকে দুর্নীতির মূলোৎপাটনে জনগণের উচিৎ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সমর্থন করা। এর আগে যেমনটা বলেছিলাম লোকমান ও মাহবুব আনামের বিপক্ষে দুর্নীতির অভিযোগ এখনো প্রমাণিত হয়নি। তদন্ত চলছে। তাদের বিপক্ষে ওঠা অভিযোগ প্রমাণিত হলে বোর্ড মন্তব্য করবে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। তবে আমাদের প্রধানমন্ত্রী খুবই ভাল পদক্ষেপ নিয়েছেন এবং এ বিষয়ে দেশের জনগণের উচিত তার পাশে দাঁড়ানো। বিসিবি সব সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কর্মকাণ্ড সমর্থন করে।’