কলমাকান্দা (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি
নেত্রকোনার কলমাকান্দায় প্রতি শুক্রবার পূর্ণদিবস সাপ্তাহিক ছুটি নির্ধারণ করা হয়েছে। মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টায় উপজেলা পরিষদ হলরুমে কলমাকান্দা বাজার দোকান কর্মচারী সমিতি ও দোকান মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দসহ জনপ্রতিনিধিদের অংগ্রহণে অনুষ্ঠিত এক বিশেষ সভায় এ ছুটির সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। ছুটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী শুক্রবার থেকে সাপ্তাহিক ছুটি পালন করা হবে।
উপজেলা পরিষদ হলরুমে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বিশেষ সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালেক তালুকদার। এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান ও আফরোজা বেগম। এছাড়াও অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দোকান মালিক সমিতির সভাপতি জহিরুল ইসলাম মোস্তফা, সাধারণ সম্পাদক সুজন সাহা, মনোহারী বণিক সমিতির সভাপতি মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল, সাধারণ সম্পাদক কাজল দে, কর্মচারী সমিতির সাধারণ সম্পাদক বাচ্চু রায় ও সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মাসুদ মিয়া প্রমুখ।
উল্লেখ্য, গত ২৭ আগষ্ট দোকান বন্ধ রাখার দাবি জানিয়ে কলমাকান্দা বাজার কর্মচারী সমিতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে একটি লিখিত আবেদন করে।
লিখিত আবেদনে তারা জানায়, প্রতি শুক্রবার পূর্ণদিবস দোকান বন্ধ রাখার বিষয়ে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংগঠনের সভাপতি মো. বাবুল মিয়া ও সাধারণ সম্পাদক বাচ্চু রায়ের স্বাক্ষরিত একটি আবেদন তারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নেত্রকোনা-১ আসনের সংসদ সদস্য মানু মজুমদার, নেত্রকোনা জেলা প্রশাসক, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত আবেদনের অনুলিপি তারা প্রেরণ করেছেন। মালিক পক্ষ শ্রম আইনের নিয়মনীতি উপেক্ষা করে অবৈধভাবে প্রতি শুক্রবার পূর্ণদিবস দোকান খোলা রেখে উপজেলার বিভিন্ন দোকানে থাকা কর্মচারীদের দোকানের কাজে নিয়োজিত রাখছেন। অন্যান্য উপজেলায় শুক্রবার পূর্ণদিবস দোকান বন্ধ থাকলেও তা কলমাকান্দার দোকান মালিকরা পালন করছেন না। যদি কোন কর্মচারী সপ্তাহে একদিন ছুটি কাটায়, সেক্ষেত্রে দোকান মালিকরা মাসের মূল বেতন থেকে একদিনের বেতন কেটে রাখেন।
জানতে চাইলে সভার প্রধান অতিথি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালেক তালুকদার বলেন, দোকান মালিক ও কর্মচারীদের নিয়ে কয়েক দফা আলোচনা পর আজ সাপ্তাহিক ছুটির সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. জাকির হোসেন যুগান্তরকে বলেন, শ্রম আইন ২০০৬ এ দোকান কর্মচারীদের ক্ষেত্রে সপ্তাহে একদিন পূর্ণদিবস ও একদিন অর্ধদিবস বন্ধ থাকার (ছুটি) কথা উল্লেখ রয়েছে। দোকান মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দ ও কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলে দুই পক্ষের সমন্বয়ে প্রতি শুক্রবার দোকান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। যদি কোন দোকান মালিক সিদ্ধান্ত না মেনে চলে তাহলে তার বিরুদ্ধে শ্রম আইন ২০০৬ অনুযায়ী আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।