নাজিম হাসান,রাজশাহী প্রতিনিধি:
বাগমারা উপজেলার প্রানকেন্দ্রে অবস্থিত ভবানাীগঞ্জ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়। প্রাচীন এই বিদ্যালয়টি তৎকালীন এরশাদ সরকারের আমলে সরকারিকরন করা হয়। এর পর থেকে বিদ্যালয়টি এলাকার শিক্ষার মান উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ন ভুমিকা পালন করে আসছে। জেএসসি এবং এসএসসি পরীক্ষার ফলাফলে উপজেলা শীর্ষ স্কুল গুলোর অন্যতম ভবানীগঞ্জ হাইস্কুল। এছাড়া বিভিন্ন খেলা ধূলায় একাধিকবার উপজেলার শেষ্ঠ হাইস্কুলের গৌরব আর্জন করেছে ভবানীগঞ্জ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়। এসবের ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি বিদ্যালয়টিতে চালু করা হয়েছে বিভিন্ন ডিজিটাল সেবা কার্যক্রম ও চালু করা হয়েছে িি.িনমযং.মড়া.নফ নামে নিজস্ব ওয়েব সাইট। এখানে বিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ন ও প্রয়োজনীয় সকল তথ্য আপলোড করা আছে। বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ভবাানীগঞ্জ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে ডিজিটাল তথ্য সেবা চালু করার পর থেকে ৬ষ্ঠ থেকে ১০ম পর্যন্ত সকল পরীক্ষার ফলাফল অন লাইনের মাধ্যমে সকল শিক্ষার্থীর অভিভাবকের মোবাইলে পৌছে দেয়া হয়। এছাড়া কোন ক্লাস পরীক্ষায় কোন শিক্ষার্থী অনুপস্থিত থাকলে তা সঙ্গে সঙ্গে মোবাইলের ম্যাসেজের মাধ্যমে তার অভিভাবকের মোবাইলে সংবাদ পৌছে যায়। বিদ্যালয়ে রয়েছে একটি সুসজ্জিত কম্পিউটার ল্যাব। যেখানে ইন্টারনেট সুবিধা সহ ২১ টি কম্পিউটার রয়েছে। এই কম্পিউটার ল্যাবে শিক্ষার্থীরা আইসিটি ক্লাস সহ কম্পিউটারের বিভিন্ন ব্যবহারিক জ্ঞান লাভ করে থাকে। ৯ম শ্রেণির শিক্ষার্থী জোবায়ের হোসেন, মাসুদুর রহমান দিগন্ত ও স্বাধীন হোসেন সহ ১০/১২ জন বিভিন্ন শ্রেণির শিক্ষার্থীরা জানান, তাদের স্কুলে ডিজিটাল তথ্য সেবা চালু হওয়ায় তারা নোটিশ সহ বিভিন্ন তথ্য খুব সহজেই জানতে পারেন। এছাড়া পরীক্ষার ফলাফলে জানতে তারা বিদ্যালয়ের ওয়েব সাইটে ঢুকে সহজেই তা জানতে পারেন। বিদ্যালয়ের সিনিয়র সহকারি শিক্ষক নুরুল ইসলাম, আবু বাক্কার ও সাইদুর রহমান জানান, বিদ্যালয়ে ডিজিটাল তথ্য সেবা চালু ও বিভিন্ন শিক্ষনীয় বিষয় কম্পিউটারে ও প্রজেক্টরে প্রদর্শনের ব্যবস্থা করায় শিক্ষার্থীদের মাঝে অনেক আগ্রহ বৃদ্ধি পেয়েছে এবং ক্লাসে উপস্থিতির হার এখন শতভাগ। ভবানীগঞ্জ পৌরসভার নাজিরপুর মহল্লার বীর মুক্তিযোদ্ধা খালেক সাহানা জানান, বিদ্যালয়ে এমন ডিজিটাল তথ্য সেবার কার্যক্রম দেখে আমি মুগ্ধ হয়েছি। তার মতে উপজেলার অন্যান্য হাইস্কুল ভবানীগঞ্জ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে শিক্ষা নিয়ে নিজ নিজ বিদ্যালয়ে এমন কার্যক্রম চালু করলে শিক্ষার্থীরা উপকৃত হবে। তিনি জানান, আমি মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে যুদ্ধকালীন বিভিন্ন অভিজ্ঞতা ও মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস ছাত্রদের মাঝে তুলে ধরার জন্য প্রধান শিক্ষকের আমন্ত্রনে এখানে এসেছি। এখানকার শিক্ষক শিক্ষার্থীরা অনেক পারদর্শী এবং তারা দেশ প্রেমিক। তাদের মনে রয়েছে মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি সম্মান বোধ। স্থানীয় অভিবাবক ছানাউল হক, জিয়াউল আলম সহ ৫/৬ জন অভিভাবক জানান, বিদ্যালয়টি এখন উপজেলার সেরা বিদ্যালয়ে পরিনত হয়েছে। এখানকার ডিজিটাল তথ্য সেবা, খেলা ধূলা সহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কার্যক্রম অন্যান্য স্কুলের জন্য অনুসরন যোগ্য। তারা এসব কার্যক্রম চালু করায় প্রধান শিক্ষক শিশির কুমার উপাধ্যায় সহ অন্যান্য শিক্ষকদের প্রশংসা করে বলেন, তারা বিদ্যালয়টিকে উপজেলা একটি মডেল বিদ্যালয়ে পরিনত করার যে সকল কার্যক্রম হাতে নিয়েছে তা একটি দৃষ্টান্ত। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শিশির কুমার উপাধ্যায় জানান, শুধু পাশের হার আর রেজাল্ট নয় আমরা শিক্ষার্থীদের দক্ষ ও পারদর্শী করে তুলতে চাই। যাতে তাদেরকে শিক্ষা জীবন শেষ করে এক মুহূর্ত বসে থাকতে না হয়।