স্কুলে যাওয়া বন্ধ হয়ে গেছে হাতিবান্ধার শিশু শিক্ষার্থী মিতুর

বদিয়ার রহমান,লালমনিরহাট । প্রতিদিনেই স্কুলে যেত নয় বছর বয়সী শিশু সুমনা আক্তার মিতু। গত ৪ মাস ধরে স্কুলে যাওয়া বন্ধ হয়ে গেছে তার। এক সময়ে এই শিশু শিক্ষার্থী কবিতা,গান গেয়ে স্কুলের শিক্ষক থেকে শুরু করে সহপাঠীদের মাতিয়ে রাখতো। কিন্তু আজ তার শরিরে ব্যাধি বাসা বেঁধেছে। তার হার্ড অপারেশন করতে হবে। একমাত্র মেয়েকে বাঁচাতে আপ্রাণ চেষ্টা করছেন হতদরিদ্র বাবা-মা। কিন্তু অর্থের কাছে অসহায় বোধ করছেন তারা। মেয়ের এমন করুণ অবস্থায় ভেঙে পড়েছেন বাবা-মা। সে লালমনিরহাট জেলার হাতীবান্ধা উপজেলার বড়খাতা ইউনিয়নের পশ্চিম সারডুবী গ্রামের নির্মান শ্রমিক সহিদার রহমান ও তার স্ত্রী রেজিনা বেগমের একমাত্র মেয়ে সুমনা আক্তার মিতু।মিতু বড়খাতা কিন্ডারগার্টেন স্কুলে প্রথম শ্রেণির ছাত্রী। তার এমন অসুখের কথা শুনে কাঁদছেন সহপাঠী, শিক্ষক থেকে শুরু করে প্রতিবেশীরাও। গত ৪ মাস ধরে স্কুলে যাওয়া বন্ধ হয়ে গেছে। এখন শুধু রংপুর আর বাড়িতে বেশিরভাগ সময় কাটছে সুমনা আক্তার মিতুর। অর্থাভাবে থেমে গেছে সুমনা আক্তার মিতু চিকিৎসা।বাবা সহিদার রহমান জানান, রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রাক্তন কনসাটেন্ট বক্ষ ব্যাধি চিকিৎসক ডা.একেএম রেজাউল করিমেন কাছে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তিনি বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার করে জানান তাকে দ্রুত ওপেন হার্ট সার্জারি অপারেশন করতে হবে তা না হলে তাকে বাঁচান যাবে না। এদিকে সুমনা আক্তার মিতু ভারতে ভেলোরে ওপেন হার্ট সার্জারি অপারেশন করতে প্রায় ৫ লাখ টাকার প্রয়োজন এমনটাই জানিয়েছেন চিকিৎসক। একজন নিমার্ন শ্রমিক বাবার পক্ষে এতটাকা জোগাড় করা কোনোমতেই সম্ভব নয়। চিকিৎসার খরচ জোগাতে সমাজের হৃদয়বান ও বিত্তশালী মানুষের সহায়তা চেয়েছে শিশুটির পরিবার। বড়খাতা কিন্ডারগার্টেন স্কুলের অধ্যক্ষ আহসান হাবীব জানান,তার বাবা খুবই গরিব ও দরিদ্র তার মেয়ে কে বাঁচাতে সবাইকে এগিয়ে আশার জন্য অনুরোধ করছি।

সুমনা আক্তার মিত চিকিৎসার জন্য সহযোগিতা করতে চাইলে তার বাবা সহিদার রহমান সঙ্গে যোগাযোগ করা যেতে পারে ০১৭৮১-৭১৯২০৯ (বিকাশ পার্সোনাল) ও নগদ।