এস এম আলম, ২৮ আগষ্ট: সঞ্চয়পত্রের মুনাফার ওপর ১০ শতাংশ হারে উৎস করে বিপাকে পড়েছে দেশের নি¤œ আয়ের গ্রাহকরা পাবনার গোপালপুর মহল্লার মরহুম মুক্তিযোদ্ধা হাশেম পারভেজের স্ত্রী রোকেয়া পারভেজ। স্বামীর সারা জীবনের গোচ্ছিত টাকা দিয়ে সঞ্চয়পত্র কিনে রেখেছেন, যা দিয়ে তাদের সংসারের খরচ চলে। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কারণে আগে থেকেই সাংসারে চলছে টানাটানি । আর এই বাজেটে উৎসে কর বাড়িয়ে দেয়ায়, তারা পড়েছেন উভয় সংকটে। রোকেয়া পারভেজ জানান, ”সঞ্চয়পত্রের টাকা দিয়েই ছেলেমেয়েদের পড়াশোনা, বাড়িভাড়া, সংসার খরচ চলে। এমনিতেই সব জিনিসপত্রের দাম বেশি। এখন আমাদের আয় যদি আরো কমে যায়, তাহলে তো সংসার চালানো কোনভাবেই সম্ভব নয়।’তার মতই পাবনা সহ দেশের অনেকেই তাদের পারিবারিক আয়ের ক্ষেত্রে সঞ্চয়পত্রের ওপর অনেকাংশে নির্ভরশীল। দেশের ্যাংকগুলোর তুলনায় সঞ্চয়পত্রে সুদের হার বেশি হওয়ায় অনেকেই সঞ্চয়পত্র কিনতে উৎসাহী হন। সঞ্চয় পত্রের অধিকাংশ গ্রাহক অসহায় বিধবা বয়স্ক নারী।যাদের পক্ষে ব্যবসা বাণিজ্য করা সম্ভব নয়। তাই সঞ্চয়পত্রে ঝামেলা কম, সহজে মুনাফা পাওয়া যায়। আবার পোস্ট অফিস থেকে সহজেই লাভের টাকা তোলা যায়।একরনে তাদের বড় অংশই সঞ্চয় পত্র দিয়েই জীবিকা নির্বাহ করে।এতদিন সঞ্চয়পত্রের মুনাফা তোলার সময় পাঁচ শতাংশ হারে উৎসে কর দিতে হতো, এখন থেকে তাদের দিতে হচ্ছে ১০ শতাংশ হারে। অতিরিক্ত এ কর প্রত্যাহার না করা হলে দেশের প্রায় ১০ লক্ষাধিক সঞ্চয় পত্রের গ্রাহক মারাতœকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হবে মনে করেন অর্নৈতিক বিশেষজ্ঞরা।