হাফসা ও সর্দার আব্দুল সাত্তার তরুণ ইতালি প্রবাসী দম্পতি। সন্তানদের নিয়ে দেশে এসেছিলেন বেড়াতে। কে জানতো দেশে এসে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হবেন। আর এতে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়তে হবে।
৩৪ বছর বয়সী হাফসা লিপি চার দিন ধরে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। সেখানে আইসিইউতে থাকা অবস্থায় সোমবার রাতে তার মৃত্যু হয় বলে হাসপাতালের পরিচালক নিশ্চিত করেছেন।
হাফসার স্বামী সর্দার আব্দুল সাত্তার তরুণ (৩৬) নিজেও ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন। দুই সন্তান অলি (১২) ও আয়ানকে (৬) নিয়ে সপ্তাহ তিনেক আগে দেশে এসে কলাবাগানে উঠেছিলেন তারা।
সাত্তারের বড় বোন ডা. নুরুন্নাহার জানান, ’ঢাকায় আসার পরপরই জ্বরে পড়েন তার ভাই। ওর অসুস্থতার মধ্যেই হাফসার জ্বর আসে। গত ২৮ জুলাই এনএস১ পরীক্ষা করা হলে ডেঙ্গু ধরা পড়ে। কিন্তু আমার ভাই বাসায় অসুস্থ বলে হাফসা স্বামীর সঙ্গে বাসায় থাকার সিদ্ধান্ত নেয়।’
’কিন্তু শুক্রবার সকালে হঠাৎ করে ওর অবস্থা খারাপের দিকে গেলে আমরা ওকে হাসপাতালে নিয়ে যাই। ওইদিনই ওকে আইসিইউতে নেয়া হয়। মঙ্গলবার সকালে হাফসার লাশ নিয়ে শরীয়তপুরে তার শ্বশুর বাড়ির উদ্দেশে রওনা হন স্বজনরা। শরীয়পুরের ভেদরগঞ্জ থানার সর্দার বাড়িতে পারিবারিক কবরস্থানে হাফসাকে দাফন করা হবে বলে জানান নুরুন্নাহার ‘
চলতি বছর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা প্রতিদিনই বেড়ে চলেছে। আর আক্রান্ত হয়েছেন কয়েক হাজার মানুষ।