সদ্য সমাপ্ত বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলের পারফরম্যান্স ছিলো গড়পরতা। ভালো কিংবা খারাপ কোনোটাই বলার জো নেই। তবুও বাংলাদেশ দলের এবারের বিশ্বকাপে লক্ষ্য ছিলো অন্তত সেমিফাইনাল খেলা। গ্রুপ পর্বে বাদ পরে দেশে ফিরতে হয় সাকিব, তামিমদের। বিশ্বকাপ শেষে দেশে ফিরেই আবার যাত্রা করে শ্রীলঙ্কার পথে। শ্রীলঙ্কায় গিয়ে ধবলধোলাই হয়ে দেশে ফিরে আসে টাইগাররা। যদিও এই সিরিজ খেলতে গিয়েছিলো বাংলাদেশ নিয়মিত অধিনায়ক মাশরাফি, বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানকে ছাড়াই।
এমন হতাশাজনক পারফরম্যান্সের পরে বাংলাদেশ দল নিয়ে চলছে বিশ্লেষণ। সাকিব বা মাশরাফি ছাড়া কি তাহলে বাংলাদেশের অবস্থা এমনই হবে? সাকিব কিংবা মাশরাফি তো সারাজীবন খেলবে না। তাহলে পরবর্তীতে কী হবে?
সাকিব পরামর্শ দিয়েছেন খেলোয়াড়দের বিশ্রাম দেয়ার। বিশেষ করে তামিম কে নিজ থেকে বিশ্রামে যাওয়ার জন্য পরামর্শ দিয়েছেন এই বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। বৃহস্পতিবার ঢাকার গুলশানে সাংবাদিকদের সাকিব বলেছেন,ক্রিকেটার ও কোচিং স্টাফ বোঝাপড়া করে বিরতি বা বিশ্রাম দিয়ে খেলাতে পারে। এতে খেলোয়াড়দের ইনজুরি কম হবে। বেশি দিন খেলতে পারবে। বিশেষ করে যে ক্রিকেটাররা তিন ফরম্যাটই খেলে বিরতিটা তাদের জন্যই প্রয়োজন বলে জানান বাঁহাতি এ অলরাউন্ডার।
সাকিব আল হাসানের এই বিশ্রাম নীতির প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যান আকরাম খান জানান,আমরা বিশ্রাম দিয়েই কিন্তু খেলাচ্ছি। নিউজিল্যান্ড সিরিজের পর বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে খেলেননি। বিশ্বকাপের পর সাকিব বিরতি চেয়েছে তাকেও ছুটি দেয়া হয়েছে। তবে আমরা বিশ্রাম প্রক্রিয়ায় যেতে পারব না, কারণ জাতীয় দলে বিকল্প খেলোয়াড় খুব কম।
জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক আরও বলেন, সাকিব না থাকলে তার জায়গায় দু’জন খেলাতে হয়। ভারতের মতো আমাদের এত খেলোয়াড় নেই। ভারতে একই মানের অনেক খেলোয়াড় আছে। তারা রোটেশন করতে পারে। আমাদের সে শক্তি নেই।