লালমনিরহাটে নানা আয়োজনে পালিত হলো ছিটমহল বিনিময়ের চার বছরপূর্তি। তবে ছিটমহল বিনিময়ের পাঁচ বছরে পা রাখলেও মৌলিক সকল সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত লালমনিরহাটের ছিটমহলবাসী। এখনো কাটেনি ছিটমহলবাসীর ভূমি জটিলতা। সেখানে নেই কোন স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ। জেলা প্রশাসনের আশ্বাস, ছিটমহলকে ঘিরে সরকারের নানা উন্নয়ন পরিকল্পনা রয়েছে। খুব শিঘ্রই ভূমি জটিলতা কাটবে ছিটমহলবাসীর। বুধবার (৩১ জুলাই) রাত ১২টার পর লালমনিরহাটের ভিতরকুটি ছিটমহলে পালিত হয় ছিটমহল বিনিময়ের চার বছর পূর্তি অনুষ্ঠান। যা পরদিন বৃহস্পতিবার (১ আগষ্ট) দিনব্যাপী চলে বিভিন্ন অনুষ্ঠান। ২০১৫ সালের ৩১ জুলাই রাত ১২টার পর ৬৮ বছরের অন্ধকারের অবসান শেষে বাংলাদেশি নাগরিকত্ব লাভ করেন বিলুপ্ত ছিটমহলবাসী। ৪ বছর পেরিয়ে ৫ বছরে যাত্রা শুরু করলেও এখনো উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি লালমনিরহাটের ৫৯টি ছিটমহলে। এখানকার বেশিরভাগ বাসিন্দাই ভুগছেন ভূমি কেনাবেচার জটিলতায়। তাদের অভিযোগ, জরিপের সময় ঘুষ নিয়ে একজনের জমি অন্যজনের নামে রেকর্ড করেছেন ভূমি কর্মকর্তারা। শুধু তাই নয় সেখানে গড়ে ওঠেনি কোনো স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্র। ফলে সেবা পেতে যেতে হয় ১০ থেকে ২০ কিলোমিটার দুরে। এছাড়া বিদ্যালয় গুলোও এখনও এমপিওভুক্ত না হওয়ায় বেতন পাচ্ছেন না শিক্ষকরা। তাই মানবেতর জীবন যাপন করছে সেখানে কর্মরক শিক্ষকরা। বেতন না পাওয়ায় অনেকে শহরে এসে বিভিন্ন শপিং কমপ্লেক্্র ও অন্যেও দোকানে কাজ করে সংসার চালাচ্ছে। আর চাকরির ক্ষেত্রে বিশেষ সুবিধা না থাকায় বেকার থাকতে হচ্ছে শিক্ষিত যুবকদের। লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক আবু জাফর ছিটমহলবাসীকে বিভিন্ন আশ্বাস দিয়ে বলেন, , ছিটমহলকে ঘিরে সরকারের নানা উন্নয়ন পরিকল্পনা রয়েছে। ক্রমান্বয়ে এসব উন্নয়ন কার্যক্রম চালু করা হবে। তখন ছিটমহলবাসীকে তাদের কোন রকম কাজে আর বেগ পেতে হবে না। খুব শিঘ্রই ভূমি জটিলতা কাটবে ছিটমহলবাসীর। দেশের অন্যান্য নাগরিক যে সুবিধা ভোগ করে তারাও একই রকম সুবিধা পাবে। ছিটমহলবাসীর ভূমি জটিলতা নিয়ে তিনি আরো বলেন, জমি নিয়ে ছিটমহলবাসীর আর জটিলতায় থাকতে হবে না। ভুমি জরিপের সময় প্রকৃত লোকই জমির মালিক হবেন। তখন ভূমি কর্মকর্তারা ঘুষ নিয়ে একজনের জমি অন্যজনের নামে রেকর্ড করে দিতে আর পারবেন না। তবে ছিটমহল বিনিময়ের ৪ বছর পেরিয়ে গেলেও এখনো সেখানে উন্নয়নের ছোয়া লাগেনি। দ্রুত ভূমি জটিলতাসহ সব সমস্যার সমাধান চান ছিটমহলবাসী।