গুরুদাসপুরে স্কুল শিক্ষিকা লতিফা হেলেনের হত্যাকারী সন্দেহে প্রাক্তন স্বামী গ্রেফতার

গুরুদাসপুর প্রতিনিধি.
নাটোরের গুরুদাসপুরে স্কুল শিক্ষিকা লতিফা হেলেন হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত থাকার সন্দেহে বৃহস্পতিবার বিকেলে তার প্রাক্তন স্বামী মমিনুল ইসলামকে গ্রেফতার করে নাটোর জেল হাজতে প্রেরণ করেছে থানা পুলিশ। হত্যার রহস্য উদঘাটনের জন্য মমিনুলকে সাতদিনের রিমান্ডে নেয়ার আবেদন করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহত স্কুল শিক্ষিকার মা মনোয়ারা বেওয়া বাদি হয়ে গুরুদাসপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। ওসি মোজাহারুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এদিকে বৃহস্পতিবার দুপুরে ওই স্কুল শিক্ষিকাকে কুপিয়ে হত্যার সাথে জড়িতদের দ্রুত বিচার ও ফাঁসির দাবিতে থানার মোড় শাপলা চত্বরে মানববন্ধন করেছেন উপজেলার ৯০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকা। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি সরোয়ার্দী হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন এমদাদুল হক, নজরুল ইসলাম, মজিবুর রহমান, আ’লীগ নেতা আহম্মদ আলী মোল্লা, প্রধান শিক্ষক হেলাল উদ্দিন, নুসরাত জাহান, সাংবাদিক আলী আক্কাছ, গোলাম মোস্তফা ভুলু প্রমূখ।
জানা গেছে, উপজেলার বৃকাশো সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষিকা পদে লতিফা হেলেন মঞ্জু (৩৫) চাকরি করতেন। ১৯৯৬ সালে গোপিনাথপুর গ্রামের কৃষক মমিনুল ইসলামের সাথে তার বিয়ে হয়। দাম্পত্য জীবনে বনিবনা না হওয়ায় ২০০৩ সালে লতিফা তার স্বামীকে ডিভোর্স দেয়। স্বামীর ঘরে মিতু নামের ১৫ বছরের এক মেয়েও আছে তার। মিতু তার বাবা মমিনুলের কাছেই থাকতো। আর লতিফা হেলেন তার মরহুম পিতা নাজিম উদ্দিনের গোপিনাথপুর দক্ষিণপাড়া গ্রামের বাড়িতে মায়ের সাথে বসবাস করতেন। ঘটনার দিন মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে মা মনোয়ারা বেওয়া পাশের বাড়িতে গেলে বৃষ্টিতে আটকে যান। রাত ১০টার দিকে মা মনোয়ারা বাড়ি ফিরে এসে দেখেন শয়নঘরের বারান্দায় রক্ত। মেয়ে লতিফাও নেই। খোঁজাখুঁজির পরে লতিফার লাশ পার্শ্ববর্তী গোলাম মওলার পুকুর থেকে উদ্ধার করে এলাকাবাসী।
এ ব্যাপারে থানার ওসি মোজাহারুল ইসলাম বলেন, আমরা দ্রুত রহস্য উদঘাটন করার চেষ্টা করছি। দ্রুত লতিফা হত্যাকারীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।