নির্যাতন সইতে না পেরে গুরুদাসপুরে বৃদ্ধ মা’র সংবাদ সম্মেলন

নাটোরের গুরুদাসপুরে ছেলে ও ছেলের বউয়ের যন্ত্রণা সইতে না পেরে তার ছেলে ও ছেলে বউয়ের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছে জহুরা বেগম নামে এক অসহায় বিধবা বৃদ্ধ মাতা।
বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের নাজিরপুর আদর্শ গ্রামের (গুচ্ছ গ্রামে) অসহায় বিধবা বৃদ্ধ মাতার তার নিজ বাড়ীতে ওই সংবাদ সম্মেলন করেছেন। তিনি লিখিত বক্তব্যে অভিযোগ করেন, তার পুত্র শহিদুল ইসলাম, ছেলের বউ রেহেনা বেগম, ছেলে শাকিল ও রানা তাকে মাঝে মধ্যে মারধর করতো। ওই সব ঘটনায় স্থানীয়রা ওই ছেলেকে তার পরিবার নিয়ে পাশর্^বর্তী গ্রাম গোপিনাথপুওে বাড়ী করার পরামর্শ দেন।

সেখানে শহিদুল তার পরিবার নিয়ে দীর্ঘদিন ধওে বাস করেন। সেখান থেকে এসে তার মায়ের নামীয় বাড়ীর জমি রেজিষ্ট্রি কওে নেওয়ার জন্য বিভিন্ন ভএর এক পর্যায়ে ভয়ভীতি দেখান। এর এক পর্যায়ে গত ২২ জুন তারা এসে জহুরা বেগমকে মারপিট কওে ঘরবাড়ী ভাংচুর করে। এঘটনায় জহুরা বেগম অভিযোগ দিলে ছেলে শহিদুলকে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ।

বিষয়টি আপোষ মিমাংসা কওে তাদেও ছেড়ে দেয়া হয়। গত ৮ জুলাইয়ে তাকে আবারও মারধর করার সময় স্থানীয়রা ওই বৃদ্ধাকে রক্ষা করে। মা জহুরা বেগম কোন উপায় না দেখে নাটোর নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। এঘটনা জানতে পেরে ছেলের বউ রেহেনা বেগম বাদী হয়ে অন্য ছেলে, মেয়ে ও জামাইকে আসামী কওে নাটোর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে একটি মামলা দায়ের করেন। এঘটনায় স্থানীয় চেয়ারম্যান বুধবার বেলা ১১টায় ইউনিয়ন পরিষদে বসে মিমাংসা উদ্যোগ নেয়। এতে ওই শহিদুল চেয়ারম্যানের ডাকে সারা না দিয়ে তার মাকে হুমকি দিয়ে চলে যায়। তার এবং তার অন্য ছেলে মেয়েদের জীবনের নিরাপত্তার দাবি জানান ওই সংবাদ সম্মেলনে। ওই বৃদ্ধার ছেলে শহিদুল জানান, জমি না দেয়া পর্যন্ত তাকে শান্তিতে থাকতে দেয়া হবেনা।


এবিষয়ে চেয়ারম্যান শওকত রানা লাবু জানান, শহিদুল তার মা’র কাছ থেকে জোড় করে বাড়ী রেজিষ্ট্রি করে নিতে চায়। তার মা জহুরা বেগম জমি না দেয়ায় ওই সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। তিনি সমাধানের উদ্যোগ নিয়েও ব্যর্থ হয়েছেন