শার্শার সাতমাইলে রুবা ক্লিনিকে চিকিৎসকের অবহেলায় হিরা বেগম (২৪) নামে এক গর্ভবতী মহিলার মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। সে সোমবার রাত ৮টা ২০ মিনিটে মৃত্যুবরন করেন।
রোগীর স্বজনেরা বলছেন, তিন দিন রোগী যন্ত্রনায় ছটফট করলেও চিকিৎসক সিজার বা অন্যত্র রেফার না করে প্রসুতিকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিয়েছে। রোগীর মৃত্যুর পর শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে পাঠিয়ে দায় উদ্ধার হওয়ার চেষ্টা করছে বলে তাদের অভিযোগ।
রুবা ক্লিনিকে চিকিৎসকের অবহেলায় মৃত্যু বরনকারী হিরা বেগমের স্বামী কবির হোসেন জানান, গত ১৩জুলাই তার স্ত্রীর প্রসব বেদনা উঠলে তার স্বজনেরা রুবা ক্লিনিকে নিয়ে যায়। সেখানে দীর্ঘখন চেষ্টার পর চিকিৎসক রানা জানান, এখনও সময় হয়নি। নরমাল ডেলিভারী হবে, অপেক্ষা করুন। এর মধ্যে প্রসব বেদনা কমে যায়। ১৪জুলাই রাত থেকে রোগী ছটফট শুরু করলে ডাঃ রানা ঘুমের ওষুধ দিয়ে ঘুমিয়ে রাখেন। সোমবার রাত ৮টায় আবারো ছটফট করতে করতে হিরা বেগম নিথর হয়ে যায়। এ সময় ডাঃ রানা তড়িঘড়ি করে উন্নত চিকিৎরার জন্য শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যেতে বলেন। তৎখনাৎ সেখানে নিয়ে গেলে চিকিৎসক পরিতোস কুমার ধর রোগীর অনেক আগেই মৃত্যু হয়েছে বলে জানান।
এ ব্যাপারে কর্তব্য রত চিকিৎসক পরিতোস কুমার ধর-এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, রোগী রাত ৮টার আগেই মারা গেছেন এবং পেটের বাচ্চা ২দিন আগেই মারা গেছে।
এ ব্যাপারে রুবা ক্লিনিকে চিকিৎসক ডাঃ রানার মোবাইলে জানার চেষ্টা করলেও তিনি মোবাইল রিসভ করেননি। তবে এলাকাবাসী জানান, এর আগে রুবা ক্লিনিকে ভিন্ন ভিন্ন সময়ে ৪জন রোগী মারা গেছেন।