বরগুনার আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যাকাণ্ডের প্রধান সাক্ষী ও নিহত রিফাতের স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নিকে গ্রেফতারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে।
শনিবার রাত ৮টার দিকে বরগুনা প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলন করেন নিহত রিফাত শরীফের বাবা আব্দুল হালিম দুলাল শরীফ। সংবাদ সম্মেলনে তিনি রিফাতের স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নিকে দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানান। সংবাদ সম্মেলেনে মিন্নি ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে মিন্নির প্রথম বিয়ের তথ্য লুকানো এবং হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে মিন্নির সম্পৃক্ততার অভিযোগসহ ১০টি গুরুতর অভিযোগ তোলেন দুলাল শরীফ।রিফাত শরীফের বাবা দুলাল শরীফের এসব অভিযোগ সম্পর্কে মিন্নির সঙ্গে কথা বলতে চাইলে তার অসুস্থতার কথা জানিয়ে সাথে কথা বলেন মিন্নির বাবা মোজাম্মেল হোসেন কিশোর। দুলাল শরীফের মাথা ঠিক নেই জানিয়ে তিনি বলেন, ‘দুলাল শরীফ হার্টের রোগী। এ কারণে তিনি ভুলভাল বকছেন। তার কথার কোনো ভিত্তি নেই। তার কথায় কান দেয়ারও কিছু নেই।’
তিনি আরও বলেন, ‘রিফাতের ওপর হামলার পর আমি রিফাতকে আমার খরচে বরিশাল নিয়ে যাই। বরিশাল নেয়ার পর সেখানে কিছু লোক আমার ওপর হামলা করে। সেইসব হামলাকারীদের প্ররোচনায় মূলত আজকের এই সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে।’মিন্নির বাবা কিশোর বলেন, ‘আমার মেয়েটি বিধবা হয়েছে। মেয়ে জামাইয়ের জন্য আমার বুক ফেটে যাচ্ছে। ভিডিও ফুটেজে রিফাত শরীফকে বাঁচানোর আপ্রাণ প্রচেষ্টা দেখে হাজার হাজার মানুষ আমার মেয়ে মিন্নিকে বাহবা দিয়েছে। আমার মেয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রিফাতকে বাঁচানোর চেষ্টা করেছে। তারপরও আমার মেয়ে ও আমার পরিবারের বিরুদ্ধে মিথ্যে অপবাদ দিচ্ছে রিফাত শরীফের বাবা দুলাল শরীফ।’
মিন্নিকে গ্রেফতারের বিষয়ে বরগুনার পুলিশ সুপার মো. মারুফ হোসেন বলেন, রিফাত হত্যা মামলাটি স্পর্শকাতর। মামলাটি আমরা অত্যন্ত গুরত্ব সহকারে নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করছি। এ হত্যাকাণ্ডে যে জড়িত থাকবে পুলিশ তাকে আইনের আওতায় আনতে বদ্ধ পরিকর।