মৌলভীবাজারে পুলিশের কনস্টেবল নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে জনমনে ব্যাপক আগ্রহ ইতিবাচক মনোভাব সূষ্টি হয়েছে। গত ২৬ জুন ১৩৬ টি শূন্য পদেও বিপরীতে ৩৩৯৭ জন প্রার্থীর শারিরিক পরীক্ষা সম্মন্ন করা হয়। গত ২৭ জুন শারিরিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ৯১৬ জন প্রার্থী লিখিত পরীক্ষায় অবতীর্ণ হন এবং এর মধ্যে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ৩১৫ জন প্রার্থী মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যমে চুড়ান্তভাবে সাধারণ পুরুষ কোটায় ৮১জন, সাধারণ নারী কোটায় ৩৫জন, মুক্তিযোদ্ধা (পুরুষ) কোটায় ১২জন, মুক্তিযোদ্ধা (নারী) কোটায় ২জন, পুলিশ পোষ্য (পুরুষ) কোটায় ৩জন, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী (পুরুষ) কোটায় ১জন, আনসার (পুরুষ) কোটায় ২জন চুড়ান্তভাবে নির্বাচিত করা হয়। স্বচ্চতা এবং নিয়মতান্তিকভাবে ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) পদে নিয়োগ প্রক্রিয়া পারিবারিক তথ্য বিশে¬ষণপূর্বক দেখা গেছে- চুড়ান্তভাবে নির্বাচিতদের মধ্যে চা শ্রমিক ১৩জন, শ্রমিক বা দিন মজুর ৬জন, পরিবহন শ্রমিক ২জন, হোটেল শ্রমিক ১জন, পিতৃহীন ১০জন, কৃষক ৪৩জন, প্রবাসী ১১জন, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ১২জন, গ্রাম্য ডাক্তার ৩ জন, মুদি দোকানদার ২জন, পান দোকানদার ৩জন, রাজমিস্ত্রী ৩জন, কাঠ মিস্ত্রী ২জন, রিক্য্রা চালক ১জন, নাপিত ১জন, পুরোহিত ১জন, নাইট গার্ড ১জন, সরকারী চাকুরীজীবি ৬জন, বে-সরকারী চাকুরীজীবি ৪ জন, অবসরপ্রাপ্ত ৬জন, শিক্ষক ১জন ও কর্মহীন ৩জন। মৌলভীবাজার জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাহ জালাল বিপিএম, পিপিএম এর পরীক্ষাআগ থেকেই সর্তক ছিল জেলা পুলিশ। দালালরা যাতে চাকুরি প্রার্থীদের প্রতারিত করতে না পারে সে জন্য বিভিন্ন জেলার সকল থানায় মাইকিংও করা হয়। অবশেষে অনিয়মের কোন অভিযোগ ছাড়াই মৌলভীবাজারে নিয়োগ পরীক্ষা সম্পন্ন করা হল। নির্বাচিতরা দেশপ্রেমে উদ্ধুদ্ধ হয়ে পেশাদারিত্বের সহিত আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ ও জনকল্যাণমূলক কাজে নিজেদের নিয়োজিত করবে এমন প্রত্যাশা সকলের।