অবিরাম বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার উপর দিয়ে প্রবাহিত তিস্তায় বাড়ছে পানি ডুবছে চর। যার কারণে নিচু এলাকার পরিবারগুলো পানিবন্দি ও যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। গৃহপালিত পশু পাখি নিয়ে বিপাকে পড়ে চরাঞ্চলবাসী। গত এক সপ্তাহ ধরে টানা ভারি বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে উপজেলার তারাপুর, বেলকা, হরিপুর, চন্ডিপুর, শ্রীপুর ও কাপাসিয়া ইউনিয়নের উপর দিয়ে প্রবাহিত তিস্তার নদীর চরাঞ্চল প্লাবিত হয়ে পড়েছে। নিচু এলাকায় বসবাসরত পরিবারগুলো পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। পানি বেড়ে যাওয়ায় ভাঙনের তীব্রতা অনেকটা কমে গেছে। তবে হরিপুর, কাপাসিয়া ও শ্রীপুর ইউনিয়নের কিছু-কিছু এলাকায় ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। কাপাসিয়া ইউনিয়নের উজান বোচাগাড়ি গ্রামের ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলাম জানান, গত সোমবার রাত হতে উজান থেকে পানি ধেঁয়ে আসছে। সে কারণেই বিভিন্ন চর প্লাবিত হয়ে পড়েছে। ডুবে গেছে বিভিন্ন ফসলের ক্ষেত। বিশেষ করে যোগাযোগ ব্যবস্থার নাজুক অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। পায়ে হেঁটে চলাচল করতে পারছে না চরাঞ্চলবাসী। যে হারে পানি বেড়েই চলছে তাতে করে আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে গোটা চরাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। অনেক পরিবার তাদের গৃহপালিত পশুপাখি, ধান, চাল, আসবাবপত্র অন্যত্র সরিয়ে নিচ্ছে। হরিপুর ইউপি চেয়ারম্যান নাফিউল ইসলাম জিমি জানান, তার ইউনিয়নের ৮টি ওয়ার্ড পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। তিনি বলেন, এখনো পানিবন্দি পরিবারগুলো চরেই বসবাস করছে। পানি বেড়ে গেলে তাদেরকে আশ্রয় কেন্দ্রে নেয়া হবে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. সোলেমান আলী জানান, সংশ্লিষ্ট চেয়ারম্যানদের মাধ্যমে পানি বেড়ে যাওয়ার বিষয়টি জেনেছি। সকলকে সর্তক থাকার পরামর্শ প্রদান করা হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে এখনও পানি বিপদসীমা অতিক্রম করেনি।