বিরহের দিন

এনামুল হক টগর

বিরহের পথে পথে হাঁটতে হাঁটতে হঠাৎ সূর্যের আভায় মনে পড়ে স্মৃতিময় প্রেমের দিন।
এক সময় গোধুলীর সাঁঝ পেরিয়ে ক্রমেই আঁধার নেমে আসে পৃথিবীর ক্লান্ত নয়ন!
হঠাৎ কালো মেঘ আকাশে বিদ্যুৎ ছটা শ্রাবণের আকাশে টিপ টিপ বৃষ্টি শব্দ ঝন ঝন।
প্রিয়াহীন গভীর অন্ধকার রাতে ঘরের দরজা জানালাগুলো বিরহের বাতাসে কাঁদে বিষণ্ণ।
পুরাতন ব্যথার স্মৃতিগুলো মনে পড়ে অতীত বর্তমান ভবিষ্যৎ বিপ্লবী আমরা দুজন?
চলে গেছো না বলে এখন তুমি কতদূর কি করছো কোথায় ঘুরছো সংগ্রামী জীবন।
তুমি কি এই বেদনার দিনে খুব কষ্টে আছো না কি শান্তিতে আছো প্রকৃতি প্রেম অনাবিল।
জীবন ব্যথার স্মৃতিগুলো নিয়ে তুমি কি একা একা ঘুরছো না কি সাথে রঙের সুজন গরল!
সামনে পৌষ মাঘ ঠাণ্ডা হাওয়া কিভাব কাটবে সময় বহুদিন দেখা নাই জনম জনম হৃদয়ে অনল।
কিভাবে বেঁচে আছো তুমি কি তোমার আগামী আশার স্বপ্ন বাসনা নতুন সংসার?
কি তোমার বাস্তব লক্ষ্য প্রত্যাশার চেতনায় দক্ষ নির্মাণ মহৎ সেবায় দীপ্তকর?
রহস্যময় এই ভাঙা অন্তরে লুকিয়ে আছে তোমার ভালোবাসার দীপ্ত চৈতন্য সকাল!
সময়ের প্রবাহে তোমার প্রজ্ঞা নিপুণ আলোর কল্যাণ ছড়ায় ইতিহাসের বৃত্তে চঞ্চল!
আমাকে প্রেম দাও বিশোধন ভালোবাসা দাও অবিস্মরণীয় সভ্যতার আর্দশ দাও নির্মল।
পুরাতন বন্ধু তুমি প্রকৃতির নব নব যৌবন বীজে ফসলের মাঠ দাও বুদ্ধিবাদী কৃষাণি।
প্রাচীন নদীর বুক জুড়ে আমাদের ভালোবাসা জন্ম জন্মান্তরের আবাদে আমি দক্ষ কৃষাণ।
আমাদের সেবা দূর-দিগন্তের ঘরে ঘরে পৌঁছে যাবে বসন্ত বাহারি পুষ্প সৌরভ সুদিন ।
সূর্য কিরণের হাওয়ায় হাওয়ায় প্রবাহমান নদী ছুটে তোমাকে খোঁজে কতদূর ঠিকানা।
তুমি ছাড়া বিষণ্ণ বিষাদ জীবন ক্রমেই প্রেমহীন গন্তব্যহীন রহস্যের গভীরে অজনা!
তোমার খোঁজে সহস্র বছরের আঁধার ভেঙে ব্যথিত ক্রন্দনের যন্ত্রণা দেখি নয়নে অগ্নি দহন!
দীর্ঘ প্রতিক্ষার চাঁদ আঁধারের বুকে প্রত্যাশার নতুন জ্যোৎস্না ছড়ায় তোমার প্রেম দর্শন!
এক সময় মৃত্তিকার প্রান্তরে ধুসর জ্যোৎস্না ক্ষয়ে ক্ষয়ে মলিন হয় ভালোবাসার জীবন অচেনা!
নীলিমার আকাশে বেদনার নক্ষত্রগুলো মিট মিট করে জ্বলে বিচ্ছেদ ব্যথার বিরহ প্রাণ!
আঁকা বাঁকা নদীর পথে পথে আমি বিড় বিড় করে হেঁটে যাই তোমাকে খুঁজি অভয় নয়ন!
আমাদের প্রেম থেকে মাটির অঙ্গঁ প্রত্যঙ্গেঁ নতুন চারা অঙ্কুরিত হবে বৃক্ষে ফুল ফল উদয়।
তুমি ফিরে এলে সংস্কার লড়াইয়ে আমরা হেঁটে যাবো সুষমবন্টন দাবি অধিকার বিজয়।
আমাদের কর্মের ফসল হবে মহাচৈতন্যের আলোকপ্রাপ্ত সম্পদ বন্টন ও ক্ষুধামুক্তির মিছিল।
কালের নিভৃত আন্দোলনের মাঝে তুমি আর আমি বার বার বিপ্লবী যোদ্ধা ভবিষ্যৎ সরল।
কতো দুঃখ কষ্ট বেদনা ব্যথায় আহত আমি জেগে থাকি অতন্দ্র প্রহরী তোমার সীমানায়।
জীবনের আধুনিক নির্মাণ চিন্তা ভাবনা গবেষণায় আমরা জাতির স্বনির্ভর সময়?
তুমি ফিরে আসলে আমরা আবার রাজপথে শ্লোগানে হেঁটে যাবো শস্যের মাঠ দীপ্তকর।
গভীর দেশপ্রেমের চেতনায় তুমি ফিরে এসো পৃথিবীর কল্যাণে নতুন সংস্কার।
আগামীকালের সাহসী ও বিপ্লবী যোদ্ধা আমরা নব নব চেতনার ক্ষুধামুক্ত সংসার।
সামনে কঠিন যুদ্ধ ন্যায়পরায়ণ নতুন দিনের মহৎ স্বপ্ন শান্তির.
নইলে অসাম্যের শ্রেণিভেদ ব্যক্তি স্বার্থের বৈষম্যে আমরা হারিয়ে যাবো কালো আঁধার।
মহাকালের পথে ইতিহাস সরল রেখা নয় বক্র আকারে সময়ের বৃত্ত রং ঢং রূপে প্রত্যাবর্তন!
বহু রূপ রস জন আনন্দ বাহার ও উৎসবের চেতনা সুদূর নয়ন।
ইতিহাস কখনো যুদ্ধে যুদ্ধে ক্ষতবিক্ষত লাশ আর রক্তাক্ত লাশে বিধ্বস্ত!
আবার কখনো অভাব অনাহারে বেদনা বিধুর ক্লান্ত জীবনে বাঁচার আশ্বস্ত!
আমরা ব্যর্থ হলে আমাদের কর্মগুলো পড়ে থাকবে প্রাণহীন নির্বাক ক্ষুধায়।
সময়ের আর্দশ ও মানবতা আমাদেরকে বলবে তোমরা ব্যর্থ অসহায়।
এমন বিরহের দিনে তুমি ফিরে এসো বন্ধু সভ্যতার জাগরণ আনি দেশপ্রেমে বিজয়।

০৮/১১/২০২৪