ট্রাইব্যুনালের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করতে পারবেন আ.লীগ নেতারা

জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে ছাত্র-জনতা হত্যার বিচার শুরু হয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে। ইতোমধ্যে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়েছে স্বৈরাচারী হাসিনা সরকারের সাবেক মন্ত্রী ও প্রশাসনের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের।

গতকাল বুধবার আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) সংশোধন অধ্যাদেশ ২০২৪’–এর খসড়াটি উপদেষ্টা পরিষদের বেঠকে উপস্থাপন করা হয়েছিল এবং এটি গৃহীত হয়েছে।

তার আলোকে জুলাই-আগস্টের হত্যাকারীরা চাইলে ট্রাইব্যুনালের অন্তর্বর্তী আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করতে পারবেন।

বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন সরকারের আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল। তিনি বলেছেন, বিচারের শুদ্ধতার জন্য ট্রাইব্যুনালের অন্তর্বর্তী আদেশের বিরুদ্ধে সীমাবদ্ধ ক্ষেত্রে আপিলের বিধান রাখা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সকালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল পরিদর্শনে এসে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা জানান তিনি।

উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেন, বিচারের শুদ্ধতার জন্য রাজনৈতিক দলের বিচারের ইস্যু আনা উচিত নয়। সবার সঙ্গে কথা বলেই এমন বিধান করা হয়েছে।

এর আগে বুধবার (২০ নভেম্বর) সচিবালয়ে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে ‘আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল সংশোধন আইন, ২০২৪’ এর খসড়ার অনুমোদন দেয়া হয়। বৈঠকে সংগঠন বা রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশের বিধান রাখার প্রস্তাবটি বাদ দেয়া হয়।

তবে ‘আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল সংশোধন আইন, ২০২৪’ এর খসড়ায় আদালত যদি মনে করেন রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার জন্য কনসার্নড অথোরিটির (সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ) কাছে সুপারিশ করতে পারেন বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।