সঞ্জু রায়, বগুড়া:
রোডক্র্যাশ প্রতিরোধে সকলকে সন্মিলিতভাবে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়ে বগুড়ায় জেলা পর্যায়ের পলিসি ইনফ্লুয়েন্স গ্রুপের ত্রৈমাসিক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আইনজীবী, জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক ও বিভিন্ন পেশাজীবীদের অংশগ্রহণে বৃহস্পতিবার বিকেলে শহরের লা-ভিসতা রেস্টুরেন্টে এই আয়োজন করে স্টেপস টুয়ার্ডস ডেভেলপমেন্ট।
স্ট্রেনদেনিং রোড সেফটি অ্যাক্ট অ্যান্ড সিভিল সোসাইটি অ্যাকশন ইন বাংলাদেশ” প্রকল্পের আওতায় অনুষ্ঠিত এই সভায় সভাপতিত্ব করেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল ২ এর পাবলিক প্রসিকিউটর ও পলিসি ইনফ্লুয়েন্স গ্রুপের সভাপতি এ্যাড. মোজাম্মেল হক। প্রকল্পের মেন্টর শেখ আবু রাহাত মো: মাশরুকুল ইসলামের ব্যবস্থাপনায় রোডক্র্যাশ প্রতিরোধে পলিসি পর্যায়ে করণীয় নানা গুরুত্বপূর্ণ দিক তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন প্রকল্পের পলিসি ইনফ্লুয়েন্স গ্রুপের সদস্যবৃন্দ যথাক্রমে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সিনিয়র স্বাস্থ্য ও শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল হান্নান, বগুড়া পৌরসভার সাবেক প্যানেল মেয়র আমিনুল ফরিদ, সাবেক কাউন্সিলর ও সমাজকর্মী খোরশেদ আলম, পল্লী উন্নয়ন প্রকল্পের প্রধান সমন্বয়কারী শেখ মো: আবু হাসানাত সাঈদ, এ্যাড. গোলাম দস্তগীর সরকার, গণমাধ্যমকর্মী সৈয়দ ফজলে রাব্বী ডলার, সঞ্জু রায় ও তাহেরা জামান, পিউপি’র প্রোগ্রাম অফিসার নিলুফা ইয়াসমিন, প্রশাসনিক কর্মকর্তা আবুল হাসনাত, শিক্ষার্থী প্রতিনিধি যথাক্রমে আবু মুসা মুন্না, আবু হানজালা প্রমুখ।
ক্যাম্পেইনে বক্তারা বলেন, রোডক্র্যাশ প্রতিরোধে আইন মানার পাশাপাশি ব্যক্তিগত সচেতনতা বৃদ্ধির কোন বিকল্প নেই। যে ছাত্র-জনতার হাত ধরে বর্তমান বাংলাদেশ আজ এগিয়ে চলেছে সেই শিক্ষার্থীদেরকেই রোডক্র্যাশ প্রতিরোধে সচেতনতার বলয় তৈরিতে সম্মুখ সারীতে থেকে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান তারা। পাশাপাশি রোডক্র্যাশ প্রতিরোধে বর্তমানে থাকা মোটরযান আইনও যুগোপযোগী সংশোধনের কথাও বলেন অংশগ্রহণকারীরা। এছাড়াও পলিসি লেভেলে জেলার নীতিনির্ধারণী ব্যক্তিদের সাথে রোডক্র্যাশ প্রতিরোধে আরো কি কি ভূমিকা রাখা যায় সে বিষয়ে সভা ও প্রয়োজনে পদক্ষেপ নেয়ার বিষয়ে আলোচনা করা হয়। এছাড়াও আগামী ৩ মাসে এই প্লাটফর্মের সম্ভাব্য ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নের পাশাপাশি সভায় বিগত দিনের কর্মকাণ্ডের ব্যর্থতা ও সফলতা নিয়ে আলোচনা করা হয়।
উল্লেখ্য, জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস উপলক্ষে প্রকল্পের আওতায় রোডক্র্যাশ প্রতিরোধে ইতিমধ্যেই বগুড়ার ৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন পরিচালিত হয়েছে যেখানে বিভিন্ন শ্রেণীর শত শত শিক্ষার্থীরা একদিকে যেমন জানার সুযোগ পেয়েছে মোটরযান আইন সম্পর্কে অন্যদিকে ক্যাম্পেইনে সচেতন করা হয়েছে তাদের করণীয় বিষয়েও।