দুই দফা জানাজা শেষে বড়াইগ্রামে শিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতির মায়ের দাফন সম্পন্ন

বড়াইগ্রাম (নাটোর) প্রতিনিধি
দুই দফা জানাজার নামাজ শেষে নাটোরের বড়াইগ্রামে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলামের মা রোকেয়া বেগমের (৬৮) লাশের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। রোববার বিকাল পৌনে পাঁচটায় বড়াইগ্রামের শিবপুর তালিমুল কুরআন হাফিজিয়া মাদরাসা মাঠে দ্বিতীয় দফা জানাজা শেষে স্থানীয় কবরস্থানে তার লাশ দাফন করা হয়। ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম নিজেই এ জানাজায় ইমামতি করেন। এর আগে সকাল সাড়ে ৯টায় ধানমন্ডি ঈদগাহ ময়দানে ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ জামায়াতের আমীর ও শিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি নুরুল ইসলাম বুলবুলের ইমামতিতে প্রথম দফা জানাজা নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। এরপর অ্যাম্বুলেন্সযোগে মরহুমার লাশ তার নিজ গ্রাম নাটোরের বড়াইগ্রামের শিবপুরে আনা হয়।
বড়াইগ্রামের শিবপুরে জানাজার পূর্বে জামায়াতে ইসলামীর সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম, মরহুমার ছেলে ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম, সেক্রেটারী জেনারেল জাহিদুল ইসলাম, সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি হাফেজ রাশেদুল ইসলাম, জামায়াতের রাজশাহী মহানগরী আমীর ড. কেরামত আলী, সেক্রেটারী ইমাজ উদ্দিন মন্ডল, নওগাঁ জেলা আমীর আব্দুর রকিব, পাবনা জেলা আমীর আবু তালেব মন্ডল, নাটোর জেলা আমীর ড. মীর নুরুল ইসলাম, নায়েবে আমীর অধ্যাপক ইউনুস আলী ও অধ্যক্ষ দেলোয়ার হোসেন খান এবং অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারী অধ্যাপক আব্দুল হাকিম বক্তব্য রাখেন। জানাজায় ছাত্রশিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সভাপতি সাদিক কাইয়ুম, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সভাপতি মোহাইমেনুল ইসলাম, রাজশাহী মহানগরী সভাপতি সিফাতুল্লাহ, বড়াইগ্রাম উপজেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা হাবিবুর রহমান, সেক্রেটারী আবু বকর সিদ্দিক, শিবিরের কেন্দ্রীয় সেক্রেটারিয়েট সদস্যরা এবং নাটোর, পাবনা ও নওগাঁ জেলা সভাপতিসহ জামায়াত ও ছাত্রশিবিরের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলামের মা রোববার সকাল সাড়ে ৬ টায় ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থান ইন্তেকাল করেন। মৃত্যুকালে তিনি স্বামী, তিন ছেলে ও দুই মেয়ে রেখে গেছেন।