সঞ্জু রায়, বগুড়া:
বগুড়ায় নানা কর্মসূচীর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদলের ৪৬তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত হয়েছে। রবিবার দিনের শুরুতেই সকাল ৭টায় দলীয় কর্যালয়ের সামনে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন এবং জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়।
বেলা সাড়ে ১১টায় বগুড়া জেলা যুবদলের আয়োজনে শহরের দত্তবাড়ি এ্যাজমা কেয়ার অ্যান্ড প্রিভেনশন সেন্টারে অসহায় দরিদ্র মানুষের জন্য ফ্রি-মেডিকেল ক্যাম্প, রক্তদান কর্মসূচি ও বিনামূল্যে ঔষধ বিতরণ, এতিমখানায় শিশুদের মাঝে খাদ্য বিতরণ ও দোয়া মাহফিল করা হয়।
জেলা যুবদলের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম ও সাধারণ সম্পাদক আবু হাসান এর সার্বিক ব্যবস্থাপনায় সকালে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীকে ঘিরে দিনব্যাপী কর্মসূচির উদ্বোধন করেন বগুড়া জেলা বিএনপির সভাপতি রেজাউল করিম বাদশা। এসময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আলী আজগর তালুকদার হেনা, ড্যাব বগুড়া জেলা কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. শাহ মো: শাজাহান আলী, জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সহীদ উন নবী সালাম ও কেএম খায়রুল বাশার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শেখ তাহাউদ্দিন নাহিন, ডা. আসফারুল হাবিব রোজ, ডা. মামুনুর রশিদ মিঠু, জেলা ড্যাবের সাধারণ সম্পাদক ইউনুছ আলী, জেলা যুবদলের সাবেক আহ্বায়ক খাদেমুল ইসলাম খাদেম, শহর যুবদলের সভাপতি আহসান হাবিব মমি, সাধারণ সম্পাদক আদিল শাহবিয়র গোর্কী, সদর উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক অতুল চন্দ্র দাস, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক তৌহিদুল ইসলাম, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি হাবিবুর রশিদ সন্ধান, সাধারণ সম্পাদক এম আর হাসান পলাশ প্রমুখ।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীকে ঘিরে দিনব্যাপী নানা কর্মসূচি প্রসঙ্গে জেলা যুবদলের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম ও সাধারণ সম্পাদক আবু হাসান বলেন, দেশনায়ক তারেক রহমানের নির্দেশনায় বগুড়ায় নেতাকর্মীদের প্রাণবন্ত অংশগ্রহণে যুবদলের ২৪টি ইউনিটেই অত্যন্ত সুশৃংখলভাবে রবিবার ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প ও এতিমদের মাঝে খাবার বিতরণ কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়েছে। তারা বলেন, বিগত দিনে রাজপথে যুবদলের নেতাকর্মীরা যে ত্যাগ, তিতিক্ষা আর সংগ্রামের পরিচয় দিয়েছেন তা স্মরণে রেখে আজ স্বৈরাচার শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর মুক্ত ও স্বাধীনভাবে প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর আয়োজন বৃহৎ পরিসরে করার কথা ছিল কিন্তু আমরা চাই এই বাংলাদেশের লাখ লাখ যুবকের আইকন তারেক রহমান যেদিন বীরের বেশে এই বাংলার মাটিতে আসবেন তখনই বৃহৎ আয়োজন হবে। তাদের নেতা দেশে না ফেরা পর্যন্ত তারা রাজপথে ছিলেন, আছেন এবং থাকবেন। তবে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে দিনব্যাপী নানা মানবিক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে পেরে তারা অত্যন্ত সন্তোষ প্রকাশ করেছেন এবং সকল নেতাকর্মীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।