নাটোর প্রতিনিধি.
নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়ন পষিদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতি আইয়ুব আলীকে (৫৫) চাঁদাবাজি ও জেরপূর্বক বিদ্যালয়ের মাঠ দখলের অভিযোগে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার বিকালে চাঁদাবাজি ও জোরপূর্বক বিদ্যালয়ের মাঠ দখলের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বর্তমানে তিনি থানা হাজতে রয়েছেন।
গুরুদাসপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম সারওয়ার হোসেন তথ্যটি নিশ্চিত করে বলেন, নাজিরপুর মরিয়ম মেমোরিয়াল বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফিরোজ আলী বাদী হয়ে বৃহসপতিবার গুরুদাসপুর আমলি আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। শুক্রবার গুরুদাসপুর থানায় ওই মামলাটি রেকর্ড করে চেয়ারম্যানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ওই মামলায় আরো ১১জন আসামী রয়েছে।
মামলার বাদী ফিরোজ আলী দাবি করে বলেন, চেয়ারম্যান আয়ুব আলী ও তাঁর কয়েকজন অনুগতদের মাধ্যমে ২০২৩ সালের জুলাই মাসে তাঁর কাছে মোটা অংকের টাকা চাঁদা দাবি করেছিলেন। চাঁদার টাকা না পেয়ে বিদ্যালয়ের ১৩ শতক জায়গা অবৈধভাবে দখলে নিয়ে সেখানে কাঁটা তারের বেড়া দিয়ে ঘিরে রাখেন।পরিস্থিতির কারনে সেসময় তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা করতে না পারলেও জেলা প্রশাসকসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছিল। প্রশাসনের পক্ষে কাঁটা তারের বেড়াটি উচ্ছেদ হলেও তাঁর কাছে চাঁদার টাকা দাবি করা হচ্ছিল। পরিস্থিতি বুঝে বৃহ®পতিবার আদালতে মামলা দায়ের করেন। আদালত বিষয়টি আমলে এনে আসামীদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। শুক্রবার গুরুদাসপুর থানায় আদালতের মামলাটি রেকর্ড করে চেয়ারম্যান আয়ুব আলীকে গ্রেপ্তার করেন।
অভিযোগ প্রসঙ্গে চেয়ারম্যান আইয়ুব আলীর বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। তবে চেয়ারম্যানের বড় ভাই নজরুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, চাঁদাবাজি ও বিদ্যালয়ের মাঠ দখলেরমত কোন ঘটনার সাথে তাঁর ভাই জড়িত নেই। ক্ষমতার পালাবদলের কারনে হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলায় তাঁর ভাইকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এমামলায় আ.লীগের আরো ১১জনকে আসামী করা হয়েছে।
নজরুল ইসলাম আরো অভিযোগ করেন, চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী ইউনিয়ন পরিষদের সুবিধাভোগীদের তালিকা সংশোধনের জন্য ক¤িপউটারে কাজ করছিলেন। বেলা ৫টার দিকে ওসি তদন্ত এসে ওসির সালাম দিয়ে থানায় চায়ের আমন্ত্রণ জানানো হয়। থানায় যাওয়ার পর তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
গুরুদাসপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম সারওয়ার হোসেন, শনিবার চেয়ারম্যান আইয়ুব আলীকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হবে। মামলার অন্য আসামীদের গ্রেপ্তারে মাঠে রয়েছে পুলিশ।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সালমা আক্তার বলেন, “ ফৌজদারী কোন অপরাধের সাথে জড়িত থাকলে গ্রেপ্তার হতেই পারেন। গ্রেপ্তারের বিষয়টি জেলা প্রশাসককে অবগত করবেন তিনি।#