মৌলভীবাজার প্রতিনিধি : কমলগঞ্জে পারিবারিক কলহের জের হিসাবে মেয়ের জামাই বাড়ীতে হামলা-ভাংচুর ও লুটপাট করার অভিযোগ উঠেছে শশুর আতাউর রহমান গংদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে- ১নং রহিমপুর ইউনিয়ন এর চৈত্রঘাট কালীমন্দির সংলগ্ন বাসায় গত ২৯ সেপ্টেম্বর রাত অনুমান ৯ ঘটিকায়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ফাতেমা বেগম (৬০)-বাদী হয়ে আতাউর রহমান (৬০), সুমি বেগম (৩৫), নাহিদ মিয়া (৩০), ছাদিক মিয়া (২২), সাহেদ মিয়া (২৫) সহ অজ্ঞাতনামা ৪০/৫০ জন-কে আসামী করে কমলগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। লিখিত অভিযোগ সুত্রে প্রকাশ- আবুল কালাম এর শশুর বাড়ীর লোকজনসহ অন্যান্যরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে গত ২৯ সেপ্টেম্বর রাতে পেট্রোলের দোকানের সামনে গিয়ে হামলা করে। এ সময় নগদ টাকা ও দোকানের মালামাল ভাংচুর করা হয়। এ সময় সে প্রাণ বাঁচাতে তার বাসায় আসিয়া বাসার ক্যাসিগেইট-এর ভেতরে প্রবেশ করেও শেষ রক্ষা হয়নি। হামলাকারীরা সেখানেও আরেক দফা হামলা-ভাংচুর, স্বর্ণালংকার, সিসি ক্যামেরা ভাংচুর ও লুটপাট চালায়। হামলায় আহত হন- আবুল কালাম, নাজমিন বেগম, আফিয়া বেগম, ফাতেমা বেগম ও ইছমত উল্লাহ। এ সময় তাদের হাল্লা চিৎকার শুনে প্রতিবেশী লোকজন তাদেরকে উদ্ধার করেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ফাতেমা বেগম ও তার স্বামী ইছমত উল্লাহসহ ভুক্তভোগী পরিবার জানান- আতাউর রহমান-এর কন্যা সুমি বেগম-এর সাথে আবুল কালাম-এর প্রায় ১৫ বছর পূর্বে বিবাহ হয়। তাদের সংসারে ১ ছেলে ও ১ মেয়ে। স্ত্রী সুমি বেগম এর নামে দোকানসহ বাসার জায়গা লিখে দেওয়ার জন্য দীর্ঘদিন যাবৎ চাপ প্রয়োগ করে আসছেন। এতে রাজী না হওয়ায় তাদের পারিবারিক বিরোধ বাড়তে থাকে। বাড়ীতে হামলার ঘটনায় নিরাপত্তহীনতায় রয়েছেন দাবী করে ভুক্তভোগী আরো বলেন- এ ঘটনার সঠিক বিচার দাবী করছি। দোকান কোঠাসহ বাসার ভিতরে ও বাহিরে ভাংচুরের দৃশ্য সিসি ক্যামেরায় ধারনকৃত ভিডিও ফুটেজ রয়েছে।