প্রাকৃতিক খাদ্যাভ্যাস মেনে চলার মাধ্যমেই শরীরে ভিটামিনের চাহিদা পূরণ হয়। কিন্তু এই ভিটামিন যদি শরীরে অতিরিক্ত মাত্রায় হয় তাহলে শরীর আর সুস্থ থাকে না। ভিটামিন ‘ডি’ শরীরের জন্য খুব প্রয়োজন। কেননা ‘ডি’ এর অভাবে শরীরে রিকেট রোগ দেখা দিতে পারে। সে কারণেই অনেকেই বেশি পরিমাণে ভিটামিন ‘ডি’ সংযোজন করে ফেলেন। যা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই খারাপ।
শরীরে অতিরিক্তমাত্রায় ভিটামিন ‘ডি’ হলে যেসব সমস্যা দেখা দেয়-
১) ক্যালসিয়ামের মাত্রা বেড়ে যাবে
ভিটামিন ‘ডি’ আপনার শরীরের মধ্যে ক্যালসিয়াম শোষণের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। ভিটামিন ‘ডি’ শরীরে বেশি পরিমাণে গেলে ক্যালসিয়ামের মাত্রাও বাড়বে। যার ফলে ঘন ঘন প্রস্রাব, বমি বমি ভাব, হজমের সমস্যা, অত্যধিক তৃষ্ণার সমস্যা হতে পারে।
২) হাড়ের ঘনত্ব হ্রাস
ভিটামিন ডি-র উচ্চ মাত্রা হাড়ের ঘনত্বের ক্ষতি হতে পারে। অতিরিক্ত ভিটামিন ‘ডি’ ভিটামিন কে-এর পরিমাণ কমায়। ভিটামিন কে রক্ত থেকে ক্যালসিয়াম নিয়ে হাড়ের মধ্যে তা সঞ্চারণ করে। তাই যদি ক্যালসিয়াম দেহে প্রবেশ করলেও যতক্ষণ না তা হাড় দ্বারা শোষিত হচ্ছে এটি আপনার রক্তেই থেকে যায়।
৩) কিডনির সমস্যা
রক্তে উচ্চ ভিটামিন ‘ডি’ আপনার কিডনিকেও প্রভাবিত করতে পারে। রক্তে অতিরিক্ত ক্যালসিয়াম কিডনিতে পাথর তৈরি করতে পারে।
৪) হজমের কষ্ট
শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার 80% নির্ভর করে পাচনতন্ত্রের উপর। ভিটামিন ‘ডি’ বেশি হলেই পেটে মোচড় হতে পারে, বমি বমি ভাব এবং হজমের অন্য সমস্যাও দেখা যেতে পারে। হঠাৎ ওজন কমে যাওয়াও এর লক্ষণ।
৫) দুর্বল এবং ক্লান্ত পেশী
ভিটামিন ‘ডি’–র উচ্চমাত্রা ক্লান্তির সাথে সম্পর্কযুক্ত। হাড়ের বদলে রক্তে ক্যালসিয়ামের উচ্চ মাত্রার কারণেই এমনটা হয়। আয়রন ও প্রোটিন না পাওয়ার কারণে পেশীর পুষ্টি হয় না।
৬) কোষ্ঠকাঠিন্য
ভিটামিন ‘ডি’ বেশি হলে মলত্যাগে কষ্ট হয়। পেটে ব্যথাও হতে পারে।
৭) খাওয়ার রুচি কমিয়ে দিবে
শরীরে অতিরিক্ত ভিটামিন ‘ডি’ খাওয়ার রুচি কমিয়ে আনে। এতে শরীরে পানিশূন্যতা ও পুষ্টির অভাব দেখা দেয়।
সূত্র : বোল্ডস্কাই।