হযরত বেল্লাল, সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধিঃ
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার নূতন দুলাল ভরট উচ্চ বিদ্যালয়ে দুইজন ভারপ্রাপ্ত প্রধানের দ্বন্দ্ব নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ তুলেছেন স্কুলের শিক্ষক-কর্মচারীর ও এলাকাবাসীর একাংশ।
বুধবার সুন্দরগঞ্জ উপজেলা প্রেসক্লাবে লিখিত বক্তব্যে স্কুলের জ্যোষ্ঠ সহকারি শিক্ষক মো. আশরাফ আলী বলেন, স্কুলের ভূয়া সনদধারী ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দাবিদার মোছা. জাহেনুর বেগম গত মঙ্গলবার বহিরাগত কিছু সংখ্যক শিক্ষার্থী ও অভিভাবক নিয়ে এসে শিক্ষক-কর্মচারীর সাথে অশালীন আচারণ করেন ও তাদেরকে অফিস কক্ষে আটকে রেখে সাদা কাগজে স্বাক্ষর নেন এবং লাঞ্চিত করেন। জাহিনুর বেগমকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মেনে নিতে হবে মর্মে বহিরাগতরা স্বাক্ষর নেন এবং জাহেনুর বেগমকে প্রধান শিক্ষকের চেয়ারে বসিয়ে দেন। এ সময় অপর ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. জাহিদুল ইসলাম স্কুলের জরুরী কাজে ঢাকায় ছিলেন। আটকে রাখা শিক্ষক-কর্মচারীদের উদ্ধারের জন্য অনলাইনে পুলিশ প্রশাসনের সহায়তা চেয়ে ছিলেন কিন্তু উপজেলা নিবার্হী অফিসারের অনুমনি না পাওয়ায় পুলিশ সেখানে যায়নি। পরে স্থানীয়দের হস্তক্ষেপে শিক্ষক-কর্মচারীগণ স্কুল হতে চলে যান। সম্মেলনে ৬ জন শিক্ষক-কর্মচারী এবং এলাকাবাসি উপস্থিত ছিলেন।
স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা মকবুল হোসেন বলেন, ভারপ্রাপ্ত প্রধান দাবিদার জাহেনুর বেগমের সনদ ভুয়া এবং তার নিয়োগে অনিয়ম রয়েছে। তিনি বহিরাগত লোকজন নিয়ে এসে শিক্ষক-কর্মচারীগণকে অকর্থভাষায় গালমন্দ করেছেন এবং প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে সাদা কাগজে স্বাক্ষর নিয়েছেন।
ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দাবিদার জাহেনুর বেগম জানান, তিনি স্কুলের সহকারি প্রধান শিক্ষক এবং সাবেক প্রধান শিক্ষক অবসরের যাওয়ার সময় তাকে দায়িত্ব দিয়ে গেছেন। সে কারণে তিনি ভারপ্রাপ্ত প্রধান দাবিদার। কিন্তু জাহিদুল ইসলাম তার বিরুদ্ধে ভূয়া কাগজপত্র সৃজন করে হাইকোর্টে ও বিভিন্ন দপ্তরের একাধিক মামলা করে এবং অভিযোগ দিয়ে জোরপূর্বকভাবে কিছু দায়িত্ব পালন করছেন।
অপর ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জাহিদুল ইসলাম জানান, স্কুলের সৃষ্ট জটিলতা নিরসনের জন্য লক্ষে কঞ্চিবাড়ি ইউপি চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে এলাকাবাসী ও শিক্ষক-কর্মচারীগণ তাকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব দেন। এছাড়া হাইকোর্টের মামলার আদেশের ভিত্তিত্বে তিনি দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
উপজেলা নিবার্হী অফিসার মো. তরিকুল ইসলাম জানান, স্কুলটির দুইজন ভারপ্রাপ্ত প্রধানের দায়িত্ব নিয়ে হাইকোর্টে একাধিক মামলা রয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন দপ্তরে ডজন খানেক অভিযোগও রয়েছে। মামলা চলমান থাকায় দ্বন্দ্ব নিরসন জটিল হয়ে পড়েছে। গত মঙ্গলবারের ঘটনা নিয়ে তিনি বলেন সেখানে ছাত্র, অভিভাবক ও শিক্ষক-কর্মচারীর বিষয় সেখানে পুলিশের উপস্থিতি দুঃখজনক।