// সঞ্জু রায়, বগুড়া:
বগুড়ার কারাগার থেকে মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত ৪ আসামীর একসাথে পালানোর ঘটনায় এবার কারাগারের জেলার ফরিদুর রহমান রুবেলকে স্ট্যান্ড রিলিজ করেছে কারা কর্তৃপক্ষ। তাকে রাজশাহী ডিআইজি প্রিজন কার্যালয়ে সংযুক্ত করা হয়েছে।
সোমবার কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ এস এম আনিসুল হক স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে তাকে স্ট্যান্ড রিলিজ করা হয়।
সোমবার রাতে মুঠোফোনে জেল সুপার আনোয়ার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে জেলার ফরিদুর রহমান রুবেলকে স্ট্যান্ড রিলিজের নির্দেশ দিয়েছে কারা অধিদপ্তর।
এর আগে, দায়িত্বে অবহেলার বিষয়টি তদন্তে উঠে আসায় বগুড়া কারাগারের ডেপুটি জেলার হোসেনুজ্জামান, প্রধান কারারক্ষীসহ ৫ জনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। এছাড়া আরও তিনজনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করা হয়।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার (২৫ জুন) দিবাগত রাতে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত চার কয়েদি বগুড়া কারাগার থেকে পালিয়ে যান। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় পুলিশ চেলোপাড়ার চাষী বাজার এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে। কয়েদিরা হলেন- কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলার দিয়াডাঙ্গা এলাকার নজরুল ইসলাম ওরফে মজনু (কয়েদি নম্বর-৯৯৮), নরসিংদীর মাধবদী উপজেলার ফজরকান্দি এলাকার আমির হোসেন (কয়েদি নম্বর-৫১০৫), বগুড়ার কাহালু পৌরসভার মেয়র আবদুল মান্নানের ছেলে মো. জাকারিয়া (কয়েদি নম্বর-৩৬৮৫) এবং বগুড়ার কুটুরবাড়ি পশ্চিমপাড়া এলাকার ফরিদ শেখ (কয়েদি নম্বর-৪২৫২)।
বুধবার (২৬ জুন) দুপুরে এ ঘটনায় বগুড়া জেলা প্রশাসকের গঠিত ছয় সদস্যের এবং অতিরিক্ত কারা মহাপরিদর্শক শেখ সুজাউর রহমান সুজার নেতৃত্বে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়।
বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) থেকে জেলা প্রশাসন ও ডিআইজি প্রিজনের গঠিত পৃথক কমিটি ঘটনার তদন্ত শুরু করে। তদন্ত এখনও চলমান আছে। এছাড়াও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে আলোচিত এই ঘটনায় তদন্ত করছে আরও একটি কমিটি।