বড়াইগ্রামে ইউপি চেয়ারম্যানের উপর হামলা-মারধর
নাটোর প্রতিনিধি
নাটোরের বড়াইগ্রামের মাঝগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল আজাদ দুলালকে মারপিট ও কার্যালয় ভাংচুরের মামলায় সিরাজুল ইসলাম নামে একজনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। শুক্রবার দুপুরে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। সিরাজুল ইসলাম উপজেলার পারকোল গ্রামের শহীদুল ইসলামের ছেলে। এর আগে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এ ঘটনার প্রতিবাদে বনপাড়া বাজারে সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
জানা যায়, বনপাড়া পৌর গেটে আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে বনপাড়া পৌর মেয়র কেএম জাকির হোসেন, নবনির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন বাবলু, জেলা আওয়ামীলীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আসিফ আব্দুল্লাহ শোভন বিন কুদ্দুস, বড়াইগ্রাম পৌর মেয়র মাজেদুল বারী নয়ন, নবনির্বাচিত ভাইস চেয়ারম্যান রেজাউল করিম ভূট্টু ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান চামেলী খাতুন, ইউপি চেয়ারম্যান মস্তফা শামসুজ্জোহা বক্তব্য রাখেন। এ সময় বক্তারা প্রতিবাদ সমাবেশ থেকে দায়ীদের গ্রেফতারে ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম দেন। অন্যথায় বৃহত্তর কর্মসূচি দেয়ার ঘোষণা দেন তারা। এর আগে হামলাকারীদের গ্রেফতারের প্রতিবাদে বনপাড়া বাজারে বিক্ষোভ মিছিল করেন তারা। পরে হামলার শিকার মাঝগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল আজাদ দুলাল ৯ জনকে আসামী করে থানায় মামলা দায়ের করেন। রাতেই পুলিশ বনপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে মামলার চার নং আসামী সিরাজুল ইসলামকে গ্রেফতার করে। শুক্রবার সিরাজুলকে আদালতে পাঠানো হলে আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
মাঝগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল আজাদ দুলাল জানান, বৃহস্পতিবার সংসদ সদস্য সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারীর লোকজন পরিষদে এসে চালের কার্ডের ৫০ পার্সেন্ট দাবি করে। আমি তাতে আপত্তি করায় তারা আমার উপর হামলা করেছে, মারধর করেছে। ইউপি কার্যালয় ভাংচুর করেছে। আমি এ ঘটনায় মামলা করেছি। আমি ন্যায় বিচার চাই।
বড়াইগ্রাম সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শরীফ আল রাজীব জানান, এ ঘটনায় চেয়ারম্যান বাদী হয়ে ৯জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন। পুলিশ একজনকে গ্রেফতার করেছে। অন্যদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।