পাবনায় প্রধানমন্ত্রীর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উদযাপন 

// বিশেষ প্রতিনিধিঃ 

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের বেশির ভাগ সদস্যকে হত্যা করা হয়। দেশের বাইরে থাকায় প্রাণে বেঁচে যান তাঁর দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা। বিদেশে অবস্থান করার সময়ই ১৯৮১ সালের ১৪, ১৫ ও ১৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনে শেখ হাসিনা দলের সভাপতি নির্বাচিত হন। এরপরই তিনি প্রায় ছয় বছর নির্বাসিত জীবন কাটিয়ে ১৯৮১ সালের ১৭ মে দেশে ফিরে আসেন।

শুক্রবার ১৭ মে প্রধানমন্ত্রী’র ৪৪তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক উপ কমিটির উদ্যোগে সদস্য ও রাষ্ট্রপতির ছেলে মোহাম্মদ  আরশাদ আদনান রনি’র পৃষ্ঠপোষকতা ও নেতৃত্বে এবং উপদেষ্টা ও পাবনা জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আসম আব্দুর রহিম পাকন’র সার্বিক তত্ত্বাবধানে জেলার ২৪টি এতিখান আবাসিক মাদ্রাসার সুবিধা বঞ্চিত শিক্ষার্থীদের রনি নিজ হাতে খাবার বিতরণ করেন ও স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আয়োজিত দোয়া মাহফিলে  প্রধানমন্ত্রী  শেখ হাসিনার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করেন।  

দোয়ার আগে তিনি প্রধানমন্ত্রী’র স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের তাৎপর্য ব্যাখ্যা করে কচি-কাঁচা শিক্ষার্থীদের অবগত করে নিজের হাতে খাবার বেড়ে দেন। 

এ সময় তিনি সকল মাদ্রাসার কর্তৃপক্ষকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উজ্জীবিত করে শিক্ষার্থীদের দেশের আদর্শবান নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার অনুরোধ জানান।

সকাল ১১ টা থেকে দুপুর পর্যন্ত চলে এ বিতরণ। পিকাপে করে সসপেনে খাবারগুলো পৌঁছানো হয় সব জায়গায়। 

এ কার্যক্রমে সক্রিয়ভাবে অংশ নেন জেলা আওয়ামী লীগের কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক রকিব হাসান টিপু, রাষ্ট্রপতি  পরিবারের সদস্য ইমরান খান রানা, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মোস্তাক আহমেদ আজাদ, আনিসুর রহমান দোলন, সরদার ফারুক হোসেন, জেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি আজিজ,পাবনা জেলা আওয়ামী সেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি মোঃ নজরুল ইসলাম সোহেল, পাবনা সদর থানা আওয়ামী লীগের সদস্য জাহিদুর রহমান মিঠু, পাবনা জেলা আওয়ামী যুবলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক শেখ সাকিরুল ইসলাম (রনি), বাংলাদেশ আওয়ামী সেচ্ছাসেবক লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক রফিকুল আলম (গাফফারী রাসেল), জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মীর রাব্বিউল ইসলাম সীমান্ত, সাবেক প্রচার সম্পাদক মোঃ ইমরুল হাসান রন্টি, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য শাওন রেজা খান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি খাদেমুল ইসলাম মামুন প্রমূখ।