বগুড়া নন্দীগ্রামে ৫০১ মণ ধানভর্তি ট্রাক চুরি মামলার মূলহোতাসহ গ্রেপ্তার ৩

// সঞ্জু রায়, বগুড়া:

বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলার রণবাঘা বাজারের ব্যবসায়ীর চুরি হওয়া ৫০১ মণ ধানবোঝাই ট্রাক উদ্ধারসহ সঙ্গবদ্ধ চক্রের ৩ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। হার না মানার মানসিকতায় তদন্ত শেষে ১৭ দিনের মাঝেই প্রথমে আসামিদের ঢাকা আশুলিয়া থেকে আটকের পর তাদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী চুরি যাওয়ার ট্রাক জামালপুর এবং ২৬৫ বস্তা ধান উদ্ধার করা হয় পাবনার চাটমোহর থেকে।

অভিযানে গ্রেফতারকৃতরা হলেন, সিরাজগঞ্জের চৌহালি থানার নজ্জেশ ওরফে নরদেশ এর দুই ছেলে যথাক্রমে মোঃ মামুন (২৬) ও মো: মাসুদ (২৯) এবং জামালপুর মেলান্দহ থানার মৃত জাফর আলীর ছেলে ট্রাকচালক সামিউল হক(৪২)। 

শুক্রবার বেলা ১২টায় নন্দীগ্রাম থানায় আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিং এসব তথ্য জানান জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পদোন্নতিপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার) আব্দুর রশিদ। তিনি জানান, গত ২৯ এপ্রিল রণবাঘা বাজারের ধান ব্যবসায়ী ওয়াজেদ আলী ২৬৫ বস্তায় ৫০১ মণ ধান যার আনুমানিক মূল্য ৭ লাখ টাকা যা ওয়াজেদ ট্রাকযোগে দিনাজপুরের সোনালী অটো রাইস মিলে পাঠান। কিন্তু ধানবোঝাই ট্রাকটি গন্তব্যে আর পৌঁছায়নি। পরে ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী নন্দীগ্রাম থানায় একটি মামলা দায়ের করলে বিষয়টি গুরুত্বের সাথে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। পরে পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তীর নির্দেশনায়, সহকারী পুলিশ সুপার ওমর ফারুকের তত্ত্বাবধানে নন্দীগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ আজমগীর হোসেনের নেতৃত্বে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তা ও সুনিদিষ্ট গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে গত ১৬মে সিরিজ অভিযান পরিচালনা করে ঢাকা জেলার আশুলিয়া উপজেলার জিরাবো ফুলতলা হতে ট্রাক চালক সামিউল ও ঘটনার সাথে জড়িত দুই ভাই  মামুন ও মাসুদ কে আটক করে পুলিশের আভিযানিক দল। তাদের দেওয়া তথ্যমতে প্রথমে জামালপুর সদর উপজেলা থেকে চুরি যাওয়া ট্রাকটি উদ্ধার করা হয়। পরে পাবনা জেলার চাটমোহর উপজেলা এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয় ২৬৫ বস্তা ধান যা নন্দীগ্রাম থানা পুলিশের একটি আভিযানিক সাফল্য হিসেবেই দেখছেন তারা।  

নন্দীগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজমগীর হোসাইন বলেন, গ্রেপ্তারকৃতদের শুক্রবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।